গেল কয়েক বছর ধরে দেশীয় গরুর চাহিদা বেশি। তাই এবারও ময়মনসিংহ অঞ্চলের খামারিরা আশাবাদী। আর এ বছর গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় কোরবানির পশুর দামও বাড়বে। তবে ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খামারিরা।
প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, ময়মনসিংহ বিভাগে চাহিদার তুলনায় দেড় লাখের বেশি কোরবানিরে পশু রয়েছে।
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ময়মনসিংহ সদরের চর গোবিন্দপুরের খামারি আসাদুজ্জামান সোহাগ ২৫টি ষাড় লালনপালন করছেন। চাহিদা বিবেচনায় তার খামারের সবগুলো গরুই দেশীয় প্রজাতির। ঈদকে ঘিরে গরুগুলোকে সবুজ ঘাসসহ নানান পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়াচ্ছেন। এই বিভাগের অন্য খামারিরাও পরম যত্নে কোরবানির পশু লালন করছেন।
খামারিরা বলছেন, গো-খাদ্যের দাম বেশিসহ বাড়তি পরিচর্যার প্রভাব এবারের হাটে পড়বে। যে কারণে প্রত্যাশিত দাম পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে।
গত কয়েক বছরে দফায় দফায় গো-খাদ্যসহ চিকিৎসার খরচ বেড়েছে। সবমিলিয়ে উৎপাদন খরচ বাড়ায় অনেকেই খামারি পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন। ফলে গত বছরের তুলনায় এই ঈদে ক্রেতাদের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেশি দামে গরু কিনতে হবে বলে জানান ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারিরা।
এক খামারি বলেন, ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে গরু লালনপালন করে খুব একটা লাভ করা যায় না। উৎপাদন খরচ না কমলে সামনে খামার করা কঠিন হয়ে যাবে।
এ বছর ময়মনসিংহ বিভাগের চাহিদা মিটিয়ে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬৮৪টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যমতে, ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় কোরবানির জন্য প্রায় ৫ লাখ ৬১ হাজার ৭৮০টি পশু প্রস্তুত রয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল জলিল বলেন, হাটে পশুর বিশেষ সুরক্ষায় ভেটেরিনারি টিম থাকবে। এছাড়া খামারিদের জন্য অনলাইনে পশু বিক্রির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৫৮:১৯ ৬৫ বার পঠিত