প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতের উন্নয়ন ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন সম্ভব নয়। তাই স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতের সঠিক পলিসি নির্ধারণ করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
শনিবার (৮ জুন) ঢাকার এক হোটেলে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের লাইভস্টক ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এবং ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশনের (এফএও) আয়োজনে ‘ভ্যালিডেশন ওয়ার্কশপ অন ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড পিপিআর ইরাডিকেশন স্ট্র্যাটেজিস, অ্যানিমেল ব্রিডিং অ্যান্ড আর্টিফিশিয়াল ইনসেমিনেশন পলিসি, পোলট্রি হ্যাচারি অ্যাক্ট, লাইভস্টক এক্সটেনশন পলিসি অ্যান্ড ম্যানুয়াল’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি। গণমাধ্যমে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
মন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য দূর করে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃপ্ত কণ্ঠে যে লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছেন, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতকে বাদ দিয়ে তা অর্জন করা যাবে না। তবে সে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে এ খাতের জন্য একটা সঠিক পলিসি নির্ধারণের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক এবং জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন (এফএও) বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে পলিসি নির্ধারণে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দেশের প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন ও এর গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য সঠিক নীতি প্রণয়ন খুবই জরুরি এবং এর একটি আইনগত ভিত্তিও থাকা দরকার। এ খাত মানুষের দেহের শুধু পুষ্টিই জোগায় না; বরং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও বড় ভূমিকা রাখছে। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ প্রাণিসম্পদ খাতের ওপর সরাসরি নির্ভরশীল বলে এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালে এক আবেগঘন বক্তৃতায় জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘আমাদের এই জাতিকে, আমাদের এই যাত্রাপথকে কেউ রুখতে পারবে না। আমরা বাংলাদেশের মানুষ, আমাদের মাটি আছে, আমার সোনার বাংলা আছে, আমার পাট আছে, আমার মাছ আছে, আমার প্রাণিসম্পদ আছে। যদি উন্নয়ন করতে পারি ইনশাআল্লাহ দুর্দিন থাকবে না।’ বঙ্গবন্ধুর এই বক্তব্যকে আদর্শ ধরেই দেশের ক্রমাগত উন্নয়ন হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে এফএও রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাড ইন্টেরিম ইন বাংলাদেশের দিয়া সানো উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২০:৪২ ১১৫ বার পঠিত