![সিলেটে বন্যার্তদের মধ্যে সরকারি ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত](https://www.news2narayanganj.com/cloud/archives/2024/06/image-142274.jpg)
সিলেটে বন্যার্ত মানুষের মাঝে সরকারি ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
গত মঙ্গলবার ও বুধবার সরকারের জেলা, উপজেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে এ ত্রাণ সামগ্রী বন্যার্ত মানুষের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে শুকনো ও রান্না করা খাবার, ওর স্যালাইন, বোতলজাত পানি, পানি বিশ্রদ্ধকরণ ট্যাবলেট, দিয়াশলাই, মোমবাতি, মশার কয়েল, নগদ টাকা রয়েছে।
সিলেট জেলায় এবার বন্যার্তদের মাঝে ইতোমধ্যে ৬৩১ মেট্রিক টন চাল, নগদ ২৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, ১,৪৯৫ বস্তা শুকনো খাবার, শিশুখাদ্যের জন্য নগদ ১০ লাখ ও গো-খাদ্যের জন্য নগদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। তবে চাহিদা আরও বেশি বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
অপরদিকে, সিলেট মহানগরে ৬৫ মেট্রিক টন চাল ও ৩ লাখ টাকা নগদ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এখানেও চাহিদা বেশি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সিলেট জেলায় বন্যা পরিস্থিতিতে বর্তমানে ৮১৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ২ কোটি ৩২ লাখ টাকা, শিশুখাদ্যের জন্য নগদ ৩৪ লাখ ও গো-খাদ্যের জন্য নগদ ৪০ লাখ টাকার চাহিদা রয়েছে। তবে শুকনো খাবার চাহিদার চাইতে অনেক বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আর মহানগরে ১ কোটি ২০ লাখ নগদ অর্থের চাহিদা রয়েছে। তবে চাল চাহিদার চেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সিলেটে চলমান দ্বিতীয় দফা বন্যায় মহানগর ও জেলাজুড়ে প্রায় ৮ লাখ মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। এরমধ্যে মহানগরে ২১টি ওয়ার্ডের অর্ধলক্ষের বেশি মানুষ বন্যা কবলিত।
এবারে সিলেটে বন্যার্ত অসহায় মানুষের জন্য জরুরি প্রয়োজনে জেলা ও মহানগর মিলিয়ে ৬৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
এর মধ্যে মহানগরে ৮০টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। সব মিলিয়ে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে এপর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে সিলেট মহানগরের বন্যা কবলিত কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেছেন দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, এমপি।
আজ বুধবার বিকাল ৩টায় মিরাবাজার কিশোরী মোহন বালক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি। এসময় জরুরি ভিত্তিতে নগদ ১০ লক্ষ টাকা, ১শ’ মেট্রিক টন চাল ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ত্রাণ সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী এসময় বলেন, বাংলাদেশ একটি দুর্যোগ প্রবণ এলাকা। এরমধ্যে সিলেট অঞ্চল অন্যতম। সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং প্রতিনিয়ত তিনি খোঁজ-খবর রাখছেন।
উল্লেখ্য, ২০ দিনের মাথায় দ্বিতীয় দফা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে সিলেট। গত ২৭ মে সিলেটে আগাম বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে জেলার সব উপজেলার সাড়ে ৭ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই বন্যার পানি পুরোপুরি নামার আগেই শনিবার (১৫ জুন) ফের বন্যা কবলিত হয় সিলেট।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০০:০৫ ২২ বার পঠিত