নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সততা, নিষ্ঠা, দক্ষতা ও নৈতিকতা আছে বলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ হয়েছে উন্নয়নের রোড মডেল।
তিনি বলেন, তাঁর নেতৃত্বে আমরা উন্নয়নশীল দেশে পদার্পণ করেছি এবং উন্নত দেশের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি।
প্রতিমন্ত্রী আজ বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছর ধারাবাহিকভাবে দেশ পরিচালনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ২০০৯ সালে ‘দিন বদলের সনদ’ ঘোষণা করেছেন। ধারাবাহিকভাবে চারটি নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা কাজ করেছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল থেকে আমরা প্রশংসা পাচ্ছি। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্তরিকভাবে কাজ করেছে বলেই এটি সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের অন্যতম চ্যালেঞ্জ ছিল পদ্মা সেতু। সেটি বাস্তবায়িত হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সততা, নৈতিকতা ও দক্ষতা আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় একটি টেকনিক্যিল মিনিস্ট্রি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিনিয়ত অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ২০২২-২৩ অর্থবছরে বৈশ্বিক পরিস্থিতিতেও এপিএ-তে ৯৬ দশমিক শূন্য ৬ নম্বর পেয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কাজ এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কাজে এক নয়। আগামীতে এপিএ বাস্তবায়নের জন্য তিনি আরো আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. আনিছুর রহমান আনিছ, সাট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর প্রীতি রানী, অফিস সহায়ক তানজিদুল হাসান এবং অফিস সহায়ক দেলোয়ার শেখ। মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার ক্ষেত্রে পুরস্কার পেয়েছেন বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ড. এ কে এম মতিউর রহমান।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ১২টি দপ্তর ও সংস্থা প্রধানগণ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪২:৩৬ ৭২ বার পঠিত