লেবাননে সামরিক আগ্রাসন চালালে ধ্বংসকারী যুদ্ধ শুরু হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ইরান। পাল্টা জবাবে ইসরাইল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, যুদ্ধের হুমকি দেয়া ইরান নিজেই ধ্বংস হওয়ার যোগ্য হয়ে পড়েছে।
রোববার (৩০ জুন) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে থাকা ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কথা উল্লেখ করে শুক্রবার (২৮ জুন) জাতিসংঘে ইরান মিশনের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টের এক পোস্টে বলা হয়, ‘সমস্ত বিকল্প উপায়সহ সব প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সম্পূর্ণ সম্পৃক্ততা নিয়ে আলোচনা চলছে।’
জাতিসংঘ মিশনটি লেবাননে হিজবুল্লাহর ওপর ইসরাইলের আক্রমণ করার হুমকিকে ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ এবং ‘প্রোপাগান্ডা’ বলে অভিহিত করেছে।
ইরানের এই হুমকির জবাবে শনিবার ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাটজ বলেন, নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার মতো যুদ্ধের বার্তা সম্বলিত যে হুমকি ইরান দিয়েছে তা দেশটিকে ধ্বংসের যোগ্য করে তুলেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন,
যে দেশ বা সরকার ধ্বংসের হুমকি দেয়, তারা নিজেরাই ধ্বংস হওয়ার যোগ্য। হিজবুল্লাহ যদি লেবানন থেকে ইসরাইলে গুলিবর্ষণ বন্ধ না করে এবং সীমান্ত থেকে সরে না যায় তাহলে এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পূর্ণ শক্তি নিয়ে কাজ করবে ইসরাইল।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত জানিয়েছেন, তার দেশ হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চায় না; যদিও সেনাবাহিনী প্রস্তুত আছে।
শুক্রবার লেবানন সংলগ্ন ইসরাইলের উত্তর সীমান্তে এক সফরে সৈন্যদের তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটি রাজনৈতিক সমাধানের জন্য কাজ করছি। যা সবসময়ের জন্য একটি ভালো বিকল্প।’
তবে সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সফরে থাকার সময় গ্যালান্ত বলেছিলেন, ইসরাইল যেকোন ঘটনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ওয়াশিংটন ডিসিতে তিনি আরও বলেন, ‘হিজবুল্লাহ খুব ভালোভাবে জানে, যুদ্ধ শুরু হলে আমরা লেবাননে কতটা ধ্বংস ডেকে আনতে পারি।’
হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ লেবাননে ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কোনরকম সংযম, কোনো নিয়ম ছাড়াই যুদ্ধ শুরু করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন।
এদিকে হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে সৌদি আরবসহ সাতটি দেশ নিজ দেশের নাগরিকদের লেবানন ত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে। এ ছাড়া আরও পাঁচটি দেশ তাদের নাগরিকদের লেবানন ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৩:৫৪ ৭১ বার পঠিত