সুরা আলে ইমরান পবিত্র কোরআনের তৃতীয় সুরা। এতে ২০০টি আয়াত এবং ২০টি রুকু রয়েছে। এটি মদিনায় অবতীর্ণ হয়েছে। এ সুরার ৩৩ থেকে ৩৫ নং আয়াতে ‘আল-ইমরান’ বা ‘ইমরানের বংশধরদের’ কথা বলা হয়েছে । একেই আলামত হিসেবে এর নাম গণ্য করা হয়েছে।
এ সুরা নাজিলের প্রেক্ষাপট হলো, নাজরানের খ্রিস্টান প্রতিনিধিদলের সঙ্গে নবীজির সাক্ষাতের ঐতিহাসিক কথোপকথন। তাদের ব্যাপারে ৮৩টি আয়াত নাজিল হয়েছে। আরবের ইয়েমেন অঞ্চলের একটি অংশের নাম ছিল নাজরান।
পবিত্র কোরআনের প্রতিটি সুরা, আয়াত ও হরফের ফজিলত রয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি একবার নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী মাইমুনা (রা.)-এর ঘরে রাত কাটান। তিনি ছিলেন তার খালা। আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা.) বলেন, অতঃপর আমি বিছানার প্রশস্ত দিকে শুলাম এবং আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার স্ত্রী বিছানার লম্বা দিকে শুলেন; আর আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুমিয়ে পড়লেন।
রাত যখন অর্ধেক হয়ে গেল তার কিছু পূর্বে কিংবা কিছু পরে আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাগলেন। তিনি বসে হাত দিয়ে তার মুখমণ্ডল থেকে ঘুমের আবেশ মুছতে লাগলেন। সুরা আলে ইমরানের শেষ দশটি আয়াত তিলাওয়াত করলেন। এরপর দাঁড়িয়ে একটি ঝুলন্ত মশক হতে সুন্দরভাবে অজু করলেন। অতঃপর নামাজে দাঁড়িয়ে গেলেন।
আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা.) বলেন, আমিও উঠে তিনি যেরূপ করেছেন তদ্রুপ করলাম।তারপর গিয়ে তার বাম পাশে দাঁড়ালাম। তিনি তার ডান হাত আমার মাথার উপর রাখলেন এবং আমার ডান কান ধরে একটু নাড়া দিয়ে ডান পাশে এনে দাঁড় করালেন। অতঃপর তিনি দু রাকাত নামাজ আদায় করলেন। তারপর দু রাকাত, তারপর দু রাকাত, তারপর দু রাকাত, তারপর দু রাকাত, তারপর দু রাকাত, তারপর বিতর আদায় করলেন। তারপর শুয়ে পড়লেন। কিছুক্ষণ পর তার কাছে মুয়াজ্জিন এলে তিনি দাঁড়িয়ে হাল্কাভাবে দু রাকাত নামাজ আদায় করলেন। তারপর বেরিয়ে গিয়ে ফজরের নামাজ আদায় করলেন। (বুখারি: ১৮৩; মুসলিম: ৭৬৩)
বাংলাদেশ সময়: ১৪:১৭:০০ ২০৫ বার পঠিত