ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটার বেগে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় বেরিল। স্থানীয় সময় সোমবার (১ জুলাই) ক্যারিবীয় অঞ্চলের বার্বাডোজ ও গ্রেনাডাসহ বেশ কয়েকটি দ্বীপে আঘাত হানে অতি বিপজ্জনক ক্যাটাগরি ৪ মাত্রার এ ঘূর্ণিঝড়। এর প্রভাবে লন্ভডন্ড হয়ে গেছে দ্বীপগুলো। বর্তমানে ইউনিয়ন আইল্যান্ডের (সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস) প্রায় ৯০ শতাংশ বাসিন্দাই গৃহহীন বলা যায়।
বুধবার (৪ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস, গ্রেনাডা এবং সেন্ট লুসিয়াতে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা হাজার হাজার মানুষ।
ইউনিয়ন আইল্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যালায়েন্সের ডিরেক্টর ক্যাটরিনা কোয় এক ভিডিও বার্তায় বলেন,
বেরিলের আঘাতের পর ইউনিয়ন দ্বীপটি ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে। বলা যায় প্রায় পুরো দ্বীপটির বাসিন্দারা এখন গৃহহীন।
তিনি আরও বলেন, ‘দ্বীপটিতে এখনো দাঁড়িয়ে আছে এমন ভবনের সংখ্যা খুবই কম। বাড়িঘর ভেঙ্গে পড়েছে, রাস্তা অবরুদ্ধ, রাস্তায় পড়ে আছে বিদ্যুতের খুঁটি।
দ্বীপটির জেলে ও মাছ ধরার গাইড সেবাস্তিয়ান সাইলি বলেন,
সবকিছু হারিয়ে গেছে। আমার এখন থাকার জায়গা নেই। যেন এখান দিয়ে টর্নেডো বয়ে গেছে। দ্বীপের ৯০ শতাংশই যেন মুছে ফেলা হয়েছে।
সেবাস্তিয়ান ১৯৮৫ সাল থেকে ইউনিয়ন দ্বীপের বাসিন্দা। তিনি ২০০৪ সালের হারিকেন ‘ইভান’র তাণ্ডবও দেখেছেন। তার মতে, হারিকেন বেরিল অন্য স্তরের ছিল।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনসের প্রধানমন্ত্রী রালফ গনসালভেস বলেন,
ক্যারিবীয় দ্বিপপুঞ্জের সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনসের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় বেরিল। ইউনিয়ন দ্বীপের ৯০ শতাংশ বাড়িঘর গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ইউনিয়ন দ্বীপ ধ্বংস হয়ে গেছে। এমনকি দ্বীপটির বিমানবন্দরের ছাদও ধ্বংস হয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, ক্ষুদ্র এ ইউনিয়ন দ্বীপটি (সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস) মাত্র ৩ মাইল লম্বা ও এক মাইল চওড়া। দ্বীপটির বাসিন্দা তিন হাজারের মতো। দ্বীপের তথ্য কেন্দ্র অনুসারে, ঘূর্ণিঝড় বেরিলের আকার এবং শক্তির তুলনায় দ্বীপটি অতিক্ষুদ্র।
বাংলাদেশ সময়: ১২:১৫:২৩ ৭৬ বার পঠিত