স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সমুদ্র সম্পদের যথোপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিন্ত করতে হবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সমুদ্র সম্পদের যথোপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিন্ত করতে হবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪



স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সমুদ্র সম্পদের যথোপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিন্ত করতে হবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

২০৪১ সালের মধ্যে আধুনিক, উন্নত, মেধাবী ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য সমুদ্র সম্পদের যথোপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
আজ বুধবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, বাংলাদেশ এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত ওশান প্রস্পারিটি-ক্যাটালাইজিং দ্য ব্লু ইকোনমি ইন বাংলাদেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সাসটেইনেবল ব্লু প্রোডাকশন বিষয়ে ব্রেক আউট সেশনে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে- সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই উৎপাদন ও আহরণের উপায় খুঁজে বের করে সমুদ্রের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধন করা।
মন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে শুধুমাত্র বিদেশী সাহায্য, অনুদান বা সহযোগিতার উপর নির্ভর করে এগোতে পারব না। আমাদের নিজস্ব সম্পদকে সমৃদ্ধ করতে হবে। আমাদের অর্থনীতিকে একটা দৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে হবে। এটি করতে হলে আমাদের সামুদ্রিক অর্থনীতিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে।
সুনীল অর্থনীতির অপার সম্ভাবনার যে বিশাল সমুদ্রসীমা আমাদের রয়েছে, সেটিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে আমাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব তো বটেই, অধিকন্তু আমাদের নিজস্ব অর্থনীতির ভিতও মজবুত করা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সমুদ্র সম্পদ উন্নয়নের নানাবিধ ক্ষেত্র রয়েছে উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরো বলেন, সমুদ্র কেন্দ্রিক বাস্তবিক ও প্রায়োগিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে, সে অনুযায়ী কাজ করা হলে আমাদের অর্থনীতিতে তা অনেক বড় অবদান রাখতে পারবে।
ব্লু ইকোনমির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটা দেশ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সমুদ্রে অফুরন্ত সম্ভাবনার প্রধান উৎস মাছের বাইরেও রয়েছে জৈবপ্রযুক্তি বা বায়োটেকনোলজি, জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজভাঙা শিল্প, সামুদ্রিক জলজ প্রাণীর চাষাবাদ, লবণ উৎপাদন, সামুদ্রিক নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার, তেল-গ্যাস ও অন্যান্য সামুদ্রিক খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান, সমুদ্রবন্দর ও সমুদ্র পর্যটন।
মো. আব্দুর রহমান আরো বলেন, এই ক্ষেত্র বা উপাদানগুলোকে আমাদের উন্নত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংসদ সদস্য মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও গ্রামীণ প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) আব্দুল বাকী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও কী-নোট স্পিকার হিসেবে অধ্যাপক চেনহং লি, সাংহাই ওশান ইউনিভার্সিটি, চীন, ড. রামাইয়া নাগাপ্পা, প্রধান বিজ্ঞানী, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশানোগ্রাফি, ভারত, ড. মোস্তাক আহমেদ, সিনিয়র সাইন্টিস্ট, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, প্রফেসর কিউ জিন, ওশান ইউনিভার্সিটি, চীন উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০:০৭:৪৪   ৬৮ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


কুয়াকাটায় প্লাস্টিক দূষনের ভয়াবহতা চরমে
বিনিয়োগ ও বাণিজ্য প্রসারে পর্যটনের অবদান অপরিসীম - হাসান আরিফ
মসজিদে নববীর আদলে গড়ে তোলা হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ - ধর্ম উপদেষ্টা
বাংলাদেশ চোখের সেবা সম্প্রসারণে অরবিসের সাথে কাজ করতে আগ্রহী : অধ্যাপক ইউনূস
এলডিসি দেশগুলোর জন্য ডলার বরাদ্দে ইইউর সমর্থন চাইল বাংলাদেশ
ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে হাব-এর মতবিনিময় সভা
আদানির সঙ্গে আড়াইশ’ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি বাতিল কেনিয়ার
বেনাপোল সীমান্ত থেকে ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ
সাংবাদিকদের হত্যা মামলায় জড়ানো নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকে স্বাগত জানালো আরএসএফ
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৮২ জন

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ