মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে - বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে - বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী
রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪



মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে - বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি বলেছেন, বোয়িং না এয়ারবাস কোন কোম্পানি থেকে উড়োজাহাজ কেনা হবে তা নির্ভর করছে মূল্যায়ন প্রতিবেদনের উপর। মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

আজ সচিবালয়ে মন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এর সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি এ কথা জানান।

তিনি আরো বলেন, আমরা নতুন উড়োজাহাজ কিনতে চাই। কারণ আমাদের বহর সম্প্রসারণের জন্য উড়োজাহাজ প্রয়োজন। বোয়িং এবং এয়ারবাস দুটি কোম্পানিই এক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করছে। তারা তাদের প্রস্তাব বিমানের কাছে জমা দিয়েছে। প্রস্তাবটি বর্তমানে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি মূল্যায়ন করছে। মূল্যায়ন এখনো শেষ হয়নি। মূল্যায়ন শেষ হলে মূল্যায়ন কমিটি যে কোম্পানিকে সুপারিশ করবে আমরা সেখান থেকেই উড়োজাহাজ কিনব।

মন্ত্রী বলেন, দুটি কোম্পানিই ভালো প্রস্তাব দিয়েছে। প্রস্তাব যাচাই বাছাই শেষে যেটি আমাদের জন্য ভালো হবে, যাতে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষিত হবে তার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

ফারুক খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সাথে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে ক্যাটাগরি-১ এ উন্নীত করণ ও ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালুর বিষয়েও কথা হয়েছে। আমি বলেছি এটা আমাদের একটি রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি। সুতরাং এটির গুরুত্ব আমাদের কাছে অপরিসীম। আমরা দ্রুত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আশা করছি। তার জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেছেন তারা আন্তর্জাতিক এভিয়েশন আইন ও তাদের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের নিয়ম মেনে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বন্ধুত্ব, অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা দুই দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আগামীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কোম্পানি এখানে ব্যবসায়িক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চায়। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান এভিয়েশন শিল্পের অংশীদার হওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলির আগ্রহ রয়েছে।

পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কোন কারণ দেখছি না। আমাদের দিক থেকেও কোন কারণ নেই, যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকেও কোন কারণ নেই‌। আগেও দেশের বিভিন্ন কেনাকাটায় যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে। তখন হয়তো তারা কাজ পায়নি, হয়তো অন্য দেশের কোন কোম্পানি কাজ পেয়েছে। তাতে তো সম্পর্কে কোন প্রভাব পড়েনি। পন্য কেনার ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান, দেশের আইন মেনে দেশের স্বার্থ যাতে রক্ষিত হয় তার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৪৫:৪৬   ১১০ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


নাটোরে আওয়ামী লীগ কর্মীকে পেটানোর ভিডিও ভাইরাল
পাকিস্তানে বড় বিক্ষোভের প্রস্তুতি ইমরান খানের দলের, ঠেকাতে তোড়জোড় সরকারের
রাজধানীতে মাদকসহ গ্রেফতার ৮
পারমাণবিক যুদ্ধের সতর্কবার্তা কিমের
রাস্তার চার ভাগের তিন ভাগই দখলে, কোনো প্রকল্পেই মিলছে না সুফল!
অন্যায়ভাবে হত্যা করার ভয়াবহতা
ইতিহাসের এই দিনে
আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
কুয়াকাটায় প্লাস্টিক দূষনের ভয়াবহতা চরমে

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ