রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, রপ্তানি বাণিজ্য টেকসই করার লক্ষ্যে পণ্যের মানোন্নয়ন ও বর্তমান বাজারকে সংহত করার পাশাপাশি নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি ও নিত্য নতুন পণ্য রপ্তানি তালিকায় যুক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রমিক-কর্মচারীদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’ প্রদান উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি আজ এসব কথা বলেন। আগামীকাল ১৪ জুলাই রপ্তানি ট্রফি প্রদান করা হবে।
রাষ্ট্রপতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো কর্তৃক ২০২১-২০২২ অর্থবছরে রপ্তানি বাণিজ্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ কৃতি রপ্তানিকারকদের ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’ প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে রপ্তানি ট্রফি অর্জনকারী রপ্তানিকারকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যবসা-বাণিজ্য বিশেষ করে রপ্তানি বাণিজ্য প্রসারের কোনো বিকল্প নেই। দেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারা অক্ষুন্ন রাখতে এবং রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানসমূহকে সহায়তা প্রদানের জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ফলে চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট ও নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশের রপ্তানি বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জিডিপিতে রপ্তানি খাতের অবদান ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ায় অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা ভবিষ্যতে অব্যাহত না থাকার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়ে আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে মনোযোগী হতে হবে। এছাড়াও পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সুসংহত করতে সরকারি-বেসরকারি অংশীজনদের একযোগে কাজ করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি মনে করেন, রপ্তানিকারকের সক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং আগামী দিনগুলোতে রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে রপ্তানি ট্রফি প্রদান বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সংশ্লিষ্ট সকলে কার্যকর অবদান রাখবেন- এটাই সকলের প্রত্যাশা।
তিনি জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০২১-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১১:২৫ ৫৫ বার পঠিত