নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেশটির তিনবারের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি। শপথ নিয়েই দরিদ্র হিমালয় দেশটিতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত ও বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
সোমবার রাজধানী কাঠমান্ডুতে রাষ্ট্রপতি ভবন ‘শীতল নিবাস’-এ নেপালের প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাউডেল এবং বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহালের উপস্থিতিতে শপথ নেন কে পি শর্মা।
গত শুক্রবার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে আস্থা ভোটে হেরে যান মাত্র ১৯ মাস প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী পুষ্প কমল দাহাল। এরপরই দেশটির সংবিধানের ৭৬ (২) অনুচ্ছেদ অনুসারে নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
মূলত, গত ৩ জুলাই দাহালের জোট সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় ক্ষমতাসীন জোটের সবচেয়ে বড় দল উদার কমিউনিস্ট ইউনিফাইড মার্কসবাদী লেনিনবাদী (ইউএমএল) পার্টি। এরপর সংবিধান অনুযায়ী বাধ্য হয়ে দাহালকে আস্থাভোটের আয়োজন করতে হয়।
এদিকে নেপালী কংগ্রেসের ৮৮ জন, ইউএমএল-এর ৭৮ জনসহ ১৬৬ জন আইন প্রণেতার সমর্থনের পর কেপি শর্মাকে সংবিধানের ৭৬(২) অনুচ্ছেদ অনুসারে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট পাউডেল।
‘চীনপন্থী’ হিসেবে পরিচিত ৭২ বছর বয়সি কে পি শর্মা, কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (ইউনিফায়েড মার্কসিস্ট লেনিনিস্ট)-এর প্রধান। শের বাহাদুর দেউবার নেতৃত্বাধীন নেপালী কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে তিনি ফের কাঠমান্ডুর ক্ষমতায় ফিরলেন। এরআগে তিনি তিনবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
অন্যদিকে ২২ সদস্যের মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছেন অলি। নতনি মন্ত্রীসভায় বিষ্ণু পাউডেলকে অর্থমন্ত্রী এবং জোটের শরিক নেপালি কংগ্রেসের (এনসি) আরজু রানা দেউবাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন অলি।
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, সরকারে ঘন ঘন পরিবর্তন এবং দলগুলোর মধ্যে কলহের কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নেপাল। যার কারণে সংবিধান রচনায় বিলম্ব এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ধীর হচ্ছে। হিমালয় জাতিটি রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হওয়ার পর ২০০৮ সাল থেকে ১০টি সরকারের পরিবর্তন দেখেছে।
সূত্র: রয়টার্স
বাংলাদেশ সময়: ১৭:১৪:৩১ ৬৫ বার পঠিত