ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পাশেই ছিল সরকার। কিন্তু শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ভিন্নপথে পরিচালিত করেছে বিএনপি-জামাত।
আজ দুপুরে রাজধানীর শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরে টোটাল শাটডাউন আন্দোলন চলাকালীন দেশব্যাপী অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতায় নিহতদের আত্মার মঙ্গল ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে আয়োজিত বিশেষ প্রার্থনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা এনেছেন বঙ্গবন্ধু। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। দীর্ঘ একুশ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিলো না। এ সময়ে বিএনপি-জামাত সন্ত্রাসের রাজনীতি চালু করেছিল। তারা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ লালন করেছে, পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। ২০১৪ সালেও তারা দেশে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য তৈরি করে মানুষ হত্যা করেছে। তারাই এবারো আগুন সন্ত্রাস করেছে, সরকারি স্থাপনায় আগুন দিয়েছে, লুটপাট করেছে, মানুষ হত্যা করেছে। তিনি বিএনপি-জামাতকে অপশক্তি হিসেবে উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সোচ্চার থাকার অনুরোধ জানান।
এ বিশেষ প্রার্থনায় সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরের প্রধান উপদেষ্টা ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ সামন্ত লাল সেন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান ও মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. বীরেন শিকদার, ধর্মসচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ড. কৃষ্ণেন্দু কুমার পাল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি আবু কাওছার মোল্লাসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এতে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস-চেয়ারম্যান ও সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরের সহ-সভাপতি সুব্রত পাল স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
পরে টোটাল শাটডাউন আন্দোলন চলাকালীন দেশজুড়ে অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতায় নিহতদের আত্মার মঙ্গল এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২:০৮:২৮ ৪১ বার পঠিত