ইসরাইল অধিকৃত গোলান মালভূমির খেলার মাঠে যে রকেটটি দিয়ে হামলা চালানো হয়েছিল সেটি ইরানের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র বলে দাবি করেছে ইসরাইল। রোববার ( ২৮ জুলাই) ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এমন দাবি করে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, শনিবার ( ২৭ জুলাই) দক্ষিণ লেবাননের চেবা গ্রামের উত্তরের একটি এলাকা থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোঁড়া হয়েছিল।
এতে বলা হয়, ‘যে রকেটটি দিয়ে আমাদের ছেলে-মেয়েদের হত্যা করা হয়েছে সেটি ইরানি রকেট এবং হিজবুল্লাহই একমাত্র সন্ত্রাসী সংগঠন যার অস্ত্রাগার রয়েছে।’
শনিবারের রকেট হামলার ঘটনায় লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে দায়ী করেছে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র। দুটি নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে বলেছে যে এ ঘটনায় হিজবুল্লাহ উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। কিন্তু এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে হিজবুল্লাহ।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইল হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল ও হিজবুল্লাহ। হাসাসকে সমর্থন করতেই ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইরান সমর্থিত এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
তবে শনিবার রকেট হামলার ঘটনায় ১২ শিশুর মৃত্যুর পর ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশংকা বেড়েছে। রোববার ( ২৮ জুলাই) ইসরাইলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারকে ইসরাইল-অধিকৃত গোলান মালভূমিতে রকেট হামলার প্রতিক্রিয়ায় তাদের পাল্টা হামলার ধরন এবং সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারাও উভয় পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযমের আহ্বান জানিয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে চলমান উত্তেজনা পুরো অঞ্চলকে অভাবনীয় একটি বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলতে পারে।
লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বু হাবিব রয়টার্সকে জানিয়েছেন এরই মধ্যে লেবানন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরাইলের প্রতি সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। বু হাবিব আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রও লেবানন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা যেন হিজবুল্লাহকেও সংযম দেখানোর জন্য অনুরোধ জানায়।
শনিবার (২৭ জুলাই) ইসরাইল অধিকৃত গোলান মালভূমির পবিত্র মাজদাল শামসের দ্রুজ শহরের একটি খেলার মাঠে রকেট হামলা চালানো হয়। এই হামলায় ১২ জন কিশোর নিহত হয়। যাদের বয়স ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০২:৫২ ৪৭ বার পঠিত