ফরিদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকারের নির্বাহী বিভাগ দাবি মেনে নেয়ায় সকল আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী আরমান শিকদার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, সারা বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন সংঘটিত হয়। এই আন্দোলনে অনেকে অপ্রত্যাশিতভাবে আহত ও নিহত হয়েছে। এছাড়াও রাষ্ট্রীয় অনেক সম্পদ, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, সেতু ভবন, বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে যা কখনোই কাম্য নয়। আমরা এই সকল অনাকাঙ্খিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবি জানাই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রধান দাবি ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার যা ইতোমধ্যেই সরকার আপিল বিভাগের নির্দেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করেছে।
এখন সব ধরনের সরকারি চাকরিতে ৯৩ শতাংশ মেধা কোটা, ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ২ শতাংশ অন্যান্য কোটা যা সাধারণ শিক্ষার্থীরা সাদরে গ্রহণ করে। এই জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
আমাদের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি সরকার কর্তৃক পূরণ হওয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফরিদপুরের উদ্যোগে যে সমস্ত আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হলো।
এখন আমাদের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই।
এসময় রিয়াজ মোল্যা, রিফাত মিয়াসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৮:২১ ১৪৩ বার পঠিত