গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী মাছচাষিদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, তাদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করতে পারলে মাছের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।
আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও মাছচাষিদের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আজ এক তথ্য বিবরণীতে একথা বলা হয়েছে।
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে গত কয়েক বছরে দেশে মাছের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে দেশের আমিষের চাহিদা পূরণ করে মাছ বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে আমাদের দেশ এখনো পিছিয়ে আছে। সমুদ্রে মৎস্য আহরণে মোটা অংকের অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। আমাদের বেশিরভাগ জেলেদের সেই সক্ষমতা নেই। জেলেদের অর্থ বিনিয়োগে সক্ষম করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৃহীত পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের মাধ্যমে দেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হয়েছে। এতে বিশাল সমুদ্রসীমায় আমাদের দখল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সমুদ্রসীমা মৎস্য চাষ, আহরণ ও ভূমি পুনরুদ্ধার কাজে ব্যবহার করা যাবে যা দেশের অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন আনতে সক্ষম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. মো. বেলায়েত হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী মন্টু। অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী স্থানীয় পুরুলিয়া ঘাটে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন।
উল্লেখ্য, ‘ভরবো মাছে মোদের দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ স্লোগান নিয়ে ৩০ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত মাছচাষি ও মৎস্যজীবী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জেলার মৎস্যচাষিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ২২:২৭:০৯ ৫৮ বার পঠিত