শেখ হাসিনার পতনে যারা অগ্রগামী ভূমিকা রেখেছেন, তাদেরকে ‘বীর’ ছাত্র-জনতা আখ্যা দিয়ে বিজয়ের রক্তিম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন।
একই সঙ্গে তিনি জনতার এই কাঙ্খিত বিজয় আনতে গিয়ে যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনাসহ তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশে এ পর্যন্ত এই বিজয় আনতে গিয়ে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তারাই হচ্ছেন একালের যুদ্ধ জয়ের মহান বীর। এই জাতি আজীবন তাদেরকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। আমরা কখনই তাদের ভুলবো না।’
মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, ‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধকালিন কমান্ডার। আমরা যে লক্ষ্য নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম, সেই লক্ষ্য উদ্দেশ্য ৫৩ বছরেও পূরণ হয়নি। বিগত ১৫ বছর ধরে স্বাধীনতাকামি, মুক্তিকামি জনতাকে একটা অদৃশ্য কারাগারে আবদ্ধ করে রেখেছিলেন সর্বকালের সর্বসেরা স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। অবশেষে সেই স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে প্রকৃত মুক্তির স্বাদ এনে দিয়েছে বীর ছাত্র-জনতার এই আন্দোলন।’
‘বিজয়ের এই ফসল সকলের সম্মিলিতভাবে যেন অনেকদূর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় এবং সকলের অংশগ্রহণে যাতে মুক্তিযুদ্ধের কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়। সবার জন্য যাতে একটি বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ে তোলা যায়, সকলকে সেই চেষ্টা করতে হবে। কোনোভাবেই যাতে আমাদের অর্জিত এই বিজয় ভুলুণ্ঠিত না হয়, সবাইকে সেদিকে সুদৃষ্টি রাখতে হবে’ ।
তিনি ‘বিজয়ের আনন্দ, উচ্ছ্বাস প্রকাশ করার পাশাপাশি সবাইকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখাসহ যার যার এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় রয়েছে তাদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান করে বলেন, ‘আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। এখনও কুচক্রিমহল ষড়যন্ত্র করবে। তারা থেমে থাকবে না। তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘর এবং মন্দির-গীর্জায় হামলা চালিয়ে সেই দায়ভার আমাদের উপর ফেলার চেষ্টা করবে। ফলে এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এবং সকল সংখ্যালঘু পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাহারা বসাতে হবে। কেন না, তারা আমাদের ভাই, আমাদের বোন, আমার প্রতিবেশি, পরিজন।’
এছাড়াও তিনি ক্ষোভের বসবতি হয়ে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, সম্পদ নষ্ট করা থেকে সবাইকে বিরত থাকার জন্য জোড় আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২:২১:৫০ ১২১ বার পঠিত