সরকারি স্থাপনাসহ থানা ভবনে কোনো হামলা, সংঘর্ষ না হলেও গত ৬ দিন ধরে স্বাভাবিক হয়নি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানা পুলিশের কার্যক্রম। পুলিশের দাবি-দাওয়ার মুখে প্রায় ৬ লাখ বাসিন্দা ও শতাধিক শিল্প-কারখানা সংশ্লিষ্টরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তবে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ক্যাম্পের একটি সেনাবাহিনী টহল টিম নিয়মিত রূপগঞ্জ থানা এলাকায় নাগরিক নিরাপত্তায় কাজ করতে দেখা গেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও পলায়নের পর থেকে সারাদেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি চলমান। তবে রূপগঞ্জের সরকারি স্থাপনা ও ভবনগুলো অক্ষত থাকলেও দুর্বৃত্তরা বেশ কয়েকটি বাড়ি, শিল্পপ্রতিষ্ঠানে আগুন দেয়। এতে জনজীবনে চরম নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে। এমনকি তারাবো পৌর ভবনে হামলার ঘটনায় চরম ক্ষোভ জানিয়েছেন রূপগঞ্জের সাধারণ বাসিন্দারা। ফলে ভুক্তভোগীরা থানা পুলিশের সেবা থেকে বঞ্চিত। পুলিশের নিরাপত্তায় স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের নেতৃবৃন্দ থানা এলাকায় পাহারা বসিয়েছে।
সেবা প্রত্যাশী ভোলাবো থেকে আসা নাঈম বলেন, থানায় আসলাম। সার্ভার কাজ করে না আর জনবল কেউ নাই। তাই ৩ দিন পর আসতে বললো।
এদিকে থানা পুলিশকে কাজে ফেরাতে রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও যুবদল নেতারা এলাকায় নিরাপত্তায় কাজ করছেন।
উপজেলা যুবদল নেতা আবু মোহাম্মদ মাসুম বলেন, রূপগঞ্জের সরকারি সবগুলো স্থাপনা অক্ষত রাখার জন্য আমরা গত ৫ তারিখ থেকেই মাঠে ছিলাম। বিএনপির পরিচয় দিয়ে কেউ কোনো হামলা করে থাকলে তার বিচার হবে। আমরা যুবদল শুরু থেকে থানা ভবন, সাব-রেজিস্ট্রার ভবনসহ সবগুলো রাষ্ট্রীয় স্থাপনা রক্ষায় কাজ করেছি৷ ফলে রূপগঞ্জ পুরোপুরি শান্ত। তাই পুলিশ সদস্যদের আশ্বস্ত করতে চাই, আপনারা কাজে ফিরুন। সবাই মিলে থানা পুলিশের পাশে থেকে রূপগঞ্জের আইনশৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করবো।
এদিকে রূপগঞ্জ থানা তদন্ত ওসি যোবায়ের হোসেন বলেন, নাগরিক নিরাপত্তায় কাজ করতে আমরা প্রস্তুত। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া দরকার। আমরা এখনো সেনাবাহিনীর কাছে সব অস্ত্র জমা দিয়ে রেখেছি। তবে শিগগিরই পুলিশ কাজে ফিরবেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে আশা করছি। তিনি আরও বলেন, বাধ্য হয়েই সেবা পেতে লোকজনকে সেনাবাহিনীর সহায়তা নিতে বলছি। এতে অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করে থাকেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৪৫:৪৪ ৮৩ বার পঠিত