বিহার ও ঝাড়খণ্ডে অতিবৃষ্টির কারণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ফারাক্কা বাঁধের ১০৯টি গেট খুলে দেয়ায় পদ্মা নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। তবে এখনও তা বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। এতে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়াসহ নদী তীরবর্তী বিভিন্ন জেলার নিম্নাঞ্চলে প্লাবনের আশঙ্কা করছেন নদী তীরের বাসিন্দারা।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, পানি কিছুটা বাড়লেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সংকট মোকাবিলায় নেয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলাগুলোতে পদ্মার পানি বিপদসীমার এক থেকে দুই মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি বাড়ায় বেশ কয়েকটি বাসাবাড়িতে বিষাক্ত সাপ ও পোকামাকড় ঢুকে পড়ছে। এ সময় স্থানীয়দের মোবাইল ফোনে সাপের ভিডিও ধারণ করতে দেখা যায়।
জানা যায়, প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে ফারাক্কার বাঁধ খুলে দেয়া হয়। ভারতের বিহার ও ঝাড়খণ্ডে অতি বৃষ্টির কারণে এবারও খুলে দেয়া হয়েছে ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেট। এতে হু হু করে পানি বাড়ছে নদীতে।
রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়াসহ বেশ কয়েকটি জেলার নিচু এলাকায় বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা।
নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা জানান, ঘরে ছোট সন্তানদের নিয়ে আতঙ্কে থাকি। কখন জানি আগ্রাসী পদ্মা আমাদের বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পানি আরও আসছে। কোনো বাঁধ না থাকায় অনেক কষ্ট হয়। এ ছাড়া বাড়িতে বিষাক্ত সাপ ও পোকামাকড়ও ঢুকে পড়ছে।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর বলেন, ‘অতিরিক্ত বৃষ্টি হয় বিহার ও ঝাড়খণ্ডে। এ কারণে ফারাক্কার গেট খুলে দিয়েছে ভারত। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। যদি বন্যার সৃষ্টি হয়, এ নিয়ে আমরা সার্বিকভাবে প্রস্তুত আছি। যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হবে।’
রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানির বিপদসীমা ১৮ দশমিক ৫ মিটার। মঙ্গলবার পানির উচ্চতা পাওয়া গেছে ১৬ দশমিক ৩০ মিটার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৪৪:৫০ ৪৬ বার পঠিত