বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে আজ দু’টি পৃথক পৃথক অনুষ্ঠানে সুইডেন এবং গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র আলজেরিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদ্বয় তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
দুই রাষ্ট্রদূত হলেন: আলজেরিয়ার ড. আবদেলওহাব সাইদানি এবং সুইডেনের নিকোলাস লিনাস রাগনার উইকস।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন পরে বলেন, নতুন রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, সুইডেন ও আলজেরিয়ার মতো বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার।
সুইডেনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি বলেন, সুইডেন গত পাঁচ দশক ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী।
তিনি বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি সুইডেন দরিদ্র, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠায় সুইডেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বাংলাদেশ ও সুইডেনের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি, সবুজ পরিবর্তন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং বর্জ্য থেকে শক্তি, সুনীল অর্থনীতি, সামুদ্রিক এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণসহ অনেক প্রতিশ্রুতিশীল খাতে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে সহযোগিতার অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন সুইডেনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য শিক্ষার সুযোগ বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে সুইডেন সরকারকে অনুরোধ করেন।
এছাড়া রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন সুইডেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার, টেকসই উন্নয়ন এবং জলবায়ু ইস্যুতে অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে, তিনি বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক সহায়তার জন্য সুইডিশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য সুইডেনের অবিচল প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন।
এদিকে, আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রপতি আলজেরিয়াকে বিশ্বমানের বাংলাদেশি পণ্য যেমন বস্ত্র, পাট, ওষুধ, খাদ্য ও ইলেকট্রনিক্স আমদানির কথা বিবেচনা করার প্রস্তাব দেন।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপ্রধান টেকসই প্রবৃদ্ধির সহায়তায় পারস্পরিক অনুকূল শর্তে আলজেরিয়া থেকে বাংলাদেশে এলপিজি বা এলএনজি সরবরাহের অনুরোধ করেন।
আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার হবে এবং বাণিজ্যের পরিধিও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
উভয় রাষ্ট্রদূত ভবিষ্যতে বাংলাদেশে তাদের সরকারি দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
এর আগে, বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি দল তাদের ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে।
এ সময় বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:১৭:০৮ ৪৭ বার পঠিত