ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর ইসলামের পক্ষে একটি জাগরণের সুযোগ হয়েছে। আমরাও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আগামী নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার। প্রতি আসনে একটি মাত্র ইসলামের পক্ষে ব্যালট বাক্স দিয়ে ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য। এ জন্য সংগঠনকে তৃণমূলে তুলে ধরতে হবে।
আজ বুধবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফেনীর শহীদ মিনার চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফেনী শহর ও পৌর শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরুতে ইসলামী আন্দোলন মাঠে-ময়দানে সরাসরি ভূমিকা পালন করেছে। এমনকি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সর্বপ্রথম রাজনৈতিক ব্যানার নিয়ে ছাত্রদের মিছিলে আমরা যোগদান করেছি। আমাদের ১৭৩ জন ছাত্র এবং কর্মী শাহাদাত বরণ করেছে।
কাজেই ইসলামী আন্দোলনের অবদানকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট পরবর্তী দেশে যখন আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়, তখনো আমাদের ছাত্র, যুবক এবং শ্রমিক কর্মীরা রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করে, মন্দির পাহারায় কাজ করে, ডাকাতি বন্ধে পাড়া-মহল্লাহ স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা পালন করে। যা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রচারিত হয়।’
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর ইসলামকে বিজয়ী করার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলামের সৌন্দর্য দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার সুযোগ এসেছে। ইসলামের সৌন্দর্য দেখে অতীতে ইসলাম ধর্মাবলম্বী ছাড়াও অন্যান্য ধর্মের মানুষ হিজরত করে বিভিন্ন দেশ থেকে ইসলামের দেশে আশ্রয় নিয়েছিল শান্তির আশায়। কাজেই ইসলামী নীতি ও আদর্শের মাধ্যমেই দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফেনী শহর শাখা সভাপতি মাওলানা আজিজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ জান্নাতুল ইসলাম। এতে বক্তব্য দেন ফেনী জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা নুরুল করীম, মাওলানা গাজী এনামুল হক ভূঁইয়া, মাওলানা একরামুল হক ভূঁইয়া, মাওলানা শেখ আতিকুল্লাহ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৪:১৫ ৫৪ বার পঠিত