ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ও অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) পদে পদন্নোতিপ্রাপ্ত মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন বলেন, দুর্গাপূজায় পুলিশের পক্ষ থেকে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সাদা পোশাকে পুলিশ কাজ করবে। সার্বক্ষণিক আমাদের একটি কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। কন্ট্রোল রুমের নাম্বারগুলো প্রতিটি মন্দিরের কমিটির সদস্যদের কাছে দেওয়া থাকবে। তারা আমাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখবে। আশা করি আমরা সকালের সহযোগিতায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সুন্দর পূজা উপহার দিতে পারব।
শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে রাজবাড়ী সদরের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, রাজবাড়ী জেলায় একযোগে মোট ৪৪১টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। পূজার প্রাকপ্রস্তুতি দেখার জন্য আজ রাজবাড়ী জেলায় এসেছি। রাজবাড়ীর সকল মন্দিরের প্রস্তুতি ভালো রয়েছে। আমাদের উদ্দেশ সবাই যেন পূজা সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারে তার ব্যবস্থা করা। সবার সহযোগিতা নিয়ে যেন ভালোভাবে উদযাপন শেষ হয় সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা মন্দির ও পূজা উদযাপন কমিটির কাছ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি।
সরেজমিনে দেখা যায়, অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে রাজবাড়ী সদরের সজ্জনকান্দা সার্বজনীন কালী মন্দির, মালিক সমিতির অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ, সজ্জনকান্দা বড়পুল হরিতলা মন্দির, নতুন হরিসভা রাধা গোবিন্দ ঘিওর মন্দির ও পুরাতন হরিসভা মন্দির পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি মন্দির কমিটি ও পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের সঙ্গে পূজা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। রাজবাড়ী সদরের পাশাপাশি তিনি পাংশা, কালুখালী, বালিয়াকান্দি ও গোয়ালন্দের পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন।
এ সময় রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার শামিমা পারভীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মুকিত সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শরীফ আল রাজীব, রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান, ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক তারক চন্দ্র পাল, রাজবাড়ী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার দাস, জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক তন্ময় দাস, রাজবাড়ী সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ সুশিল দত্ত তাপস, সাধারণ সম্পাদক ডা. সমীর কুমার দাস, রাজবাড়ী পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ধীরেশ চক্রবর্তী দোদো, সজ্জনকান্দা সার্বজনীন কালী মন্দিরের সভাপতি অলোক কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক দেবু কুমার সরকার, সজ্জনকান্দা বড়পুল হরিতলা মন্দির কমিটির সভাপতি গণেশ মিত্র, মন্দিরের পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি স্বপন সোম, সাধারণ সম্পাদক কিশোর শিকদার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪৪:৫৯ ৪৫ বার পঠিত