সনাতনী সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দিন-রাত কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধ, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক।
আজ শুক্রবার চট্টগ্রামের পটিয়ার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এসে পৌরসদরের সুচক্রদণ্ডী মিলন মন্দিরে পূজার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক বলেন, এ দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশের হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবাই আমরা একে অন্যের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানগুলোতে অংশগ্রহণ করি। এখানে আমাদের মধ্যে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সেতুবন্ধন রয়েছে তা অন্য কোন দেশে নেই। সনাতনী সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সবাই দিন-রাত কাজ করছি। দেশের সকল পূজামণ্ডপে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাজ করছে।’
এ সময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, ‘এ দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে ধারা রয়েছে, তা ধরে রাখতে হবে।’
তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন দুর্গাপূজা দেখতে এলাকার বিভিন্ন মণ্ডপে যেতাম। বর্তমানে পূজাকে নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ করতে আপনাদের পাশে প্রতিদিন আছি, সবসময় আছি, প্রতি ঘণ্টায় আছি, প্রতি মিনিটে আছি ও প্রতি সেকেন্ডে আছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘কোন গুজবে কান দেবেন না। আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করবেন।’
পরে উপদেষ্টা পটিয়া পৌরসদরের রামকৃষ্ণ মিশন ও কালি বাড়ি মন্দির পরিদর্শন করেন, পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে কুশল বিনিময় ও পূজার সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন ভূঞা জনি, থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর, কেন্দ্রীয় পূজা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শ্যামল কুমার পালিত, জেলা পূজা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বজিৎ পালিত, জেলা পূজা কমিটির সদস্য ও পটিয়া উপজেলা পূজা মনিটরিং কমিটির সমন্বয়ক পুলক কান্তি চৌধুরী, আহ্বায়ক এডভোকেট সঞ্জয় দে, যুগ্ম আহ্বায়ক দেবাশীষ ধর বাপন, জুয়েল চৌধুরী, মান্না দেব, সাজু কুমার দেব, সদস্য সচিব রাসেল চৌধুরী, সোমা চৌধুরী, সীমা গোস্বামী, শোভন রায়, সঞ্জয় রক্ষিত, জয় দে প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৬:১৮ ৪২ বার পঠিত