বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ট্রাভেল ডকুমেন্ট’ দিয়েছে ভারত। এর ফলে ভারত থেকেই বিশ্বের যে কোনও দেশে ভিসা নিয়ে সেখানে যেতে পারবেন তিনি। যদিও এখনই তাঁর অন্য কোনও দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা নেই। আপাতত ভারতেই থাকবেন আওয়ামি লিগের সভানেত্রী তথা বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সূত্রের খবর, হাসিনাকে ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ দিতে চলেছে ভারত। তবে এখন পর্যন্ত এই ব্যাপারে সরকারিভাবে কিছু জানায়নি ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।
গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে চলে আসেন হাসিনা। ইতিমধ্যেই তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এখন তিনি কী ভাবে, কোন পরিচয়ে ভারতে রয়েছেন তা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। এই সময়েই জানা গেল, হাসিনাকে ‘ট্রাভেল ডকুমেন্ট’ দিয়েছে ভারত। শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার পরিবারের ঘনিষ্ঠ এবং বিট্রেনে বসবাসকারী আওয়ামি লিগের এক নেতা এই দাবি করেছেন।
বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, ওই নেতা নিজের নাম প্রকাশ করতে চাননি। তবে, তিনি দাবি করেছেন, হাসিনাকে ভারতের তরফে যে ট্রাভেল ডকুমেন্ট দেওয়া হয়েছে সেটা দিয়ে বিশ্বের যে কোনও দেশের ভিসা নিয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন তিনি। এই সঙ্গে ওই নেতা দাবি করেছেন, আপতত হাসিনা এবং তাঁর বোন দু’জনেই ভারতে থাকবেন। এখন ভারত থেকে অন্য কোথাও তাঁদের যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। ভারতে হাসিনাকে উপযুক্ত নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, কোনও দেশে আশ্রয়প্রার্থীদের সেই দেশের ট্রাভেল ডকুমেন্ট দেওয়া হয়। কিন্তু হাসিনাকে ভারতে ‘রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছে কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। আওয়ামি লিগের ওই নেতা জানিয়েছেন, হাসিনার গুরুত্ব বিবেচনা করে তাঁর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে ভারত।
সূত্রের খবর, তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামার মতই শেখ হাসিনাকেও ‘পলিটিক্যাল অ্যাসাইলাম’ দেওয়া হতে পারে। ভারতের এক প্রাক্তন কূটনীতিবিদ জানিয়েছে, হাসিনাকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট এবং রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ এই পরিস্থিতিতে এটাই স্বাভাবিক এবং প্রত্যাশিত পদক্ষেপ।
উল্লেখ্য, দলাই লামার মতো অনেক তিব্বতি শরণার্থীকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ওই ডকুমেন্ট নিয়েই বিভিন্ন দেশে সফর করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:০১:৫৪ ৩৭ বার পঠিত