মার্কিন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী পাঠানোর শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ এখন ১৩তম স্থানে রয়েছে। আজ এক মার্কিন কর্মকর্তা আজ বলেছেন, গত এক দশকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে তিন গুণেরও বেশি বেড়েছে।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ২০১২-২০১৩ সালে ছিল ৩ হাজার ৮২৮ জন, যা ২০২২-২০২৩ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫৬৩ জনে।
রাজধানীর গুলশানের ইএমকে সেন্টারে একটি কলেজ মেলার উদ্বোধনকালে মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক এনগেজমেন্ট ডিরেক্টর স্কট হার্টম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসে একটি স্থায়ী প্রভাব রেখে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব, খেলাধুলা, পারফর্মিং আর্টস, হ্যাকাথন, এবং বিতর্কের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে, যা তাদের ভবিষ্যত সাফল্যের জন্য প্রস্তুত করছে।’
হার্টম্যান বলেন, ‘গবেষণায় উদ্ভাবন হোক বা সাংস্কৃতিক সংযোগ গড়ে তোলা, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসে একটি স্থায়ী প্রভাব রেখে যাচ্ছে।’
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অফিসিয়াল এডুকেশন ইউএসএ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এবং এডপ্রোগ্রামস-এর সহযোগিতায় এই আয়োজন করা হয়, যেখানে ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে ৫০০ জনের বেশি অংশগ্রহণ করেন।
মেলাটি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সম্ভাব্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, এবং স্কুল কাউন্সিলরদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রতিনিধিদের সাথে সরাসরি কথা বলার সুযোগ দেয়।
এমব্রি-রিডল অ্যারোনটিক্যাল ইউনিভার্সিটি, নিউ জার্সি ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ডাকোটা, ইউনিভার্সিটি অ্যাট বাফেলো, দ্য স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইয়র্ক, ইউনিভার্সিটি অব কানসাস, নিউইয়র্ক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, সেন্ট্রাল মিশিগান ইউনিভার্সিটি, ডেপাও ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনা।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৩:১৬ ৬৮ বার পঠিত