মৎস্যজীবী ও মৎস্য খাত চরম বৈষম্যের শিকার : উপদেষ্টা

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » মৎস্যজীবী ও মৎস্য খাত চরম বৈষম্যের শিকার : উপদেষ্টা
শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪



মৎস্যজীবী ও মৎস্য খাত চরম বৈষম্যের শিকার : উপদেষ্টা

মৎস্যজীবী ও মৎস্য খাত চরম বৈষম্যের শিকার উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘মৎস্যজীবী ও মৎস্য খাতে যে বৈষম্য রয়েছে, তা দূর করতে সরকার সর্বোচ্চভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’ শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে সিরডাপ মিলনায়তনে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে তারাই প্রকৃত মৎস্যজীবী। এ ক্ষেত্রে কোনোভাবেই ব্যবসায়ীরা অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে না।

মৎস্যজীবীদের মধ্যে মজুরি বৈষম্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নারী মৎস্যজীবীদের স্বীকৃতিকে বড় ধরনের সমর্থন জানাতে হবে। তাদের সঙ্গে অন্য মৎস্যজীবীদের কোনো পার্থক্য করা যাবে না। সুযোগ-সুবিধা দিতে পারলে মৎস্যজীবীরা আর গরিব থাকবে না।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যদি মেরিন ফিশারিজকে সত্যিকার অর্থেই ব্যবহার করতে পারি বাংলাদেশ আর গরিব থাকবে না।
আমরা শুধু মৎস্য সম্পদের কথা বিবেচনা করি তাহলে দেখা যায়, এই বিশাল প্রজাতির মধ্যে অনেক প্রজাতি এখনো আমাদের আহরণের মধ্যে আসেনি। এমনকি, গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণের সক্ষম উন্নত ভেসেল আমাদের নেই। আমরা জানি না সত্যিকার আমাদের কত প্রজাতির মৎস্যসম্পদ আছে, তাদের মজুদ কেমন। সরকার নিজস্ব ভেসেল এনে এ বিষয়ে কাজ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ জন্য দেশের স্বার্থে স্বনামধন্য বিজ্ঞানীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।’

ইলিশ মাছ আল্লাহর দান উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘নোনা পানি থেকে স্বাদু পানিতে আসা এবং ফেরত যাওয়ার মতো মাইগ্রেটরি রুট ঠিক করতে পারলে ইলিশের উৎপাদন বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে এবং ইলিশ আমাদের বড় সম্পদে পরিণত হবে। অতীতের সরকার ভারতের নতজানু থাকার ফলে বাংলাদেশে ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধকালীন সে দেশের জেলেরা আমাদের সমুদ্রসীমায় প্রবেশ করে ইলিশ ধরে নিয়ে যেত। এ সমস্যা লাঘবে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’

উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘নদ-নদীর মতো সমুদ্র দূষণমুক্ত নয়।
নদীর পানি সমুদ্রে যাচ্ছে সমুদ্রও দূষিত হচ্ছে। দেশে যেভাবে প্লাস্টিক ব্যবহৃত হচ্ছে তা রোধ করা দরকার। আমরা যে মাছ খাচ্ছি-অনেক মাছের মধ্যে মাইক্রো প্লাস্টিক পাওয়া যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশকে প্লাস্টিকমুক্ত করতে আমাদের কাজ করতে হবে। হাওর ও নদীর মাছ রক্ষায় অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। দেশীয় প্রজাতির মাছের উৎপাদন বাড়িয়ে সবার কাছে পৌঁছে দিতে হবে।’

কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন ফাউন্ডেশনের উপনির্বাহী পরিচালক সনৎ কুমার ভৌমিক। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের পরিচালক অদ্বৈত চন্দ্র দাস, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহ।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৪:১৬   ২২ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণিগাছ রোপণ বন্ধ হবে
চিহ্নিত করেছি, কারা বন্দরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে: সাখাওয়াত
ফ্যাসিবাদের আমলে গায়েবি মামলা হতো, এখন হচ্ছে ঢালাও: আসিফ নজরুল
সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন আল আজহারের গ্র্যান্ড ইমাম
বিতর্কিত কাউকে যেন সরকারে দায়িত্ব না দেওয়া হয়: মির্জা ফখরুল
গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো চাপ নেই : নাহিদ ইসলাম
জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত সহায়তা প্রয়োজন : প্রধান উপদেষ্টা
৩০ লাখ ঢাকাবাসীর জন্য ভূপৃষ্ঠের পানি শোধনে ডেনমার্কের সহায়তা
টাঙ্গাইলে ভিক্ষুকদের মাঝে অটোভ্যান বিতরণ

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ