নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, ‘কোনো পলাতক নেত্রীর কথায় বাংলাদেশের মানুষ কান দিবে না। আমরা আপনাদের প্রতি সহানুভুতিশীল হয়ে গণতান্ত্রিক আচরণ করেছি। আজ থেকে আপনাদের আচরণ বলে দিবে আপনাদের প্রতি এ দেশের মানুষের আচরণ কী হবে।’
রোববার (১০ নভেম্বর) বেলা ১২টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পূর্বে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বলেছিল, যদি আওয়ামী লীগের পতন হয় তাহলে একদিনে ৫ লাখ লোক মারা যাবে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে সেই আওয়ামী লীগকে পতন হয়েছে। দুই হাজার মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতান্ত্রিক পরিবেশে বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামীদের সাথে সহানুভূতিশীল হয়ে তাদের সাথে সামান্য খারাপ আচরণও করেনি। অথচ এ আচরণকে দুর্বলতা ভেবে তারা এ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ছাত্রজনতা, সর্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। হুমকি দিচ্ছে, রক্তের বিনিময়ে অন্তর্ববর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করতে চায়।’
সাখাওয়াত বলেন, ‘বিপ্লবের তিন মাস হয়ে গেল কিন্তু ৫ জন নেতারও রক্ত ঝরেনি। অথচ আজকে তারা এদেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ দেশের লাখো-কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। খুন, হত্যা, গুমের মাধ্যমে দেশে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছিল। সেই অবস্থার পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়ে আওয়ামী লীগের উপর যে স্টিম রোলার চালানোর কথা ছিল তা চালায়নি বলে আজ তারা বেশি বেড়ে গেছে।’
আওয়ামী লীগের ‘ঔদ্ধত্যের’ দাঁতভাঙা জবাব দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘যদি আবার এমন ঔদ্ধত্য পোষণ করেন, তাহলে বাংলার মানুষ আপনাদের দাঁতভাঙা জবাব দিবে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসরদের আইনের আওতায় আনা হবে। তাদের নির্মূল করে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখা হবে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হবে। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় একমাত্র আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তারা দেশের শত্রু, জাতির শত্রু। তাই তাদের মেনে নেয়া যায় না।’
জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম রাজীবের সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার প্রধান, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাহিদ ইশতিয়াক শিকদার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৪:৫২ ৩৯ বার পঠিত