পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন আজ সম্মান, মর্যাদা ও শান্তির ভিত্তিতে একটি উন্নত বিশ্ব গড়তে জেনেভা কনভেনশন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের (আইএইচএল) প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি প্রদর্শনের জন্য সকল দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘শান্তির পথ আমাদের হাতে। জেনেভা কনভেনশন ও আইএইচএল-এর প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি জোরদার করার মাধ্যমে আমরা এমন একটি ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারি যেখানে মানবাধিকারকে সম্মান করা হয়, মর্যাদা সমুন্নত হয় এবং শান্তি একটি স্থায়ী বাস্তবতায় পরিণত হয়।’
পররাষ্ট্র সচিব রাজধানীতে রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি (আইসিআরসি) আয়োজিত ‘আওয়ার শেয়ার্ড হিউম্যানিটি: মেকিং ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানিটারিয়ান ল (আইএইচএল) একটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অগ্রাধিকার’ থিমের অধীনে জেনেভা কনভেনশনের ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন।
পররাষ্ট্র সচিব আইএইচএলের সাথে জাতীয় কাঠামোর সমন্বয়ে বাংলাদেশের অর্জন তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘এই মাইলফলক বার্ষিকী স্মরণ করিয়ে দেয় যে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করা এবং যুদ্ধে মানবিক আচরণ বজায় রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এখন আমাদের অবশ্যই কথামালার বাইরে যেতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে আইএইচএল ব্যতিক্রম ছাড়াই একটি সম্মানিত বৈশ্বিক মানদণ্ড হয়ে উঠবে।’
জসিম রোহিঙ্গা সঙ্কটের টেকসই সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সমর্থন জোরদার এবং আরো কাজ করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশে আইসিআরসির প্রতিনিধি দলের প্রধান অ্যাগনেস ধুর তার উদ্বোধনী বক্তৃতায় বলেন, ‘সশস্ত্র সংঘাত ও মানবিক সংকট বিশ্বব্যাপী তীব্র হওয়ার সাথে সাথে কনভেনশনসমূহ সহিংসতা রোধে আমাদের আশার আলোকবর্তিকা হয়ে আছে। আমরা যদি এখনই আইএইচএলকে অগ্রাধিকার না দিই, তাহলে কবে দেব?’
অ্যাগনেস বিশ্বের দেশগুলোকে আইএইচএল-এর প্রতি তাদের প্রতিশ্রুুতি পুনর্নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে জোর দিয়ে বলেন, ‘রাজনৈতিক ইচ্ছা ছাড়া, আইএইচএল-এর প্রতিপালন নিশ্চিত করা যায় না এবং এসব রীতি-নীতি কাগজে-কলমে থেকে যায়।’
অংশগ্রহণকারীরা কিভাবে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আইএইচএল বাস্তবায়নে বাধাগুলো অতিক্রম করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেন। অংশগ্রহণকারীরা একটি চিত্রপ্রদর্শনীও পরিদর্শন করেছে যা জেনেভা কনভেনশনের ঐতিহাসিক তাৎপর্য ও বাংলাদেশে -এর কাজকে তুলে ধরে।
তার মূল বক্তব্যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাজমুজ্জামান ভূঁইয়া নতুন ও জটিল দ্বন্দ্বের মধ্যে অব্যাহত প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে কনভেনশনের বিবর্তনের বর্ণনা দেন।
সুইস রাষ্ট্রদূত রেটোরেংগলি বলেন, ‘চলমান সংঘাত ও বৈশ্বিক অস্থিরতা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং জেনেভা কনভেনশনকে অপ্রচলিত করে দেয় না; বরং এই আইনগুলো যে আগের চেয়ে আজ অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক তাই প্রতিপন্ন করে।’
বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৯:০৯ ২৭ বার পঠিত