ইসরাইলের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই অত্যাধুনিক সব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের প্রদর্শনী করলো ইরান। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি রাজধানী তেহরানে দেশটির অত্যাধুনিক সব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের প্রদর্শনী করা হয়।
গাজা ও লেবানন যুদ্ধের মধ্যে গত এপ্রিল মাস থেকে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ অক্টোবর ইসরাইলে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ১৮১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ওই হামলা চালানো হয়।
এর জবাবে গত ২৬ অক্টোবর ইরানে অতর্কিত হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এই হামলায় রাজধানী তেহরানসহ দেশটির কয়েকটি প্রদেশের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এই হামলায় ইসরাইলি বাহিনী শতাধিক যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। এরপর থেকেই ইসরাইলে পাল্টা হামলা নিয়ে ইরানের নেতারা হুাঁশিয়ারি দিয়ে আসছেন।
পাল্টাপাল্টি এই উত্তেজনার মধ্যেই ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের প্রদর্শনী করলো ইরান। দেশটির প্যারামিলিটারি রেভ্যুলুশনারি গার্ড জানায়, এসব সমরাস্ত্রের মধ্যে এমন সব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন রয়েছে যা সরাসরি ইসরাইলি ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম।
একইসঙ্গে তেহরানের বাসিন্দাদের আকাঙ্ক্ষা, ইসরাইলের বিরুদ্ধে অপারেশন ট্রু প্রমিজ-থ্রি পরিচালনা করা হোক, যা ওয়ান ও টু এর চেয়ে আরও শক্তিশালী হতে হবে। নেতানিয়াহু প্রশাসন যা অনুমানও করতে পারবে না।
প্রদর্শনী দেখতে আসা এক ইরানি বলেন, ‘আমরা চাই অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি প্রথম দুইটি হামলার থেকে আরও ভয়াবহ হোক। এমনভাবে হামলা করা হোক যার মাধ্যমে শত্রুপক্ষ বুঝুক ইরানের বিপক্ষে টিকে থাকা সম্ভব নয়।’
আরেক ইরানি বলেন, ‘এটা ভেবে আমি খুশি যে আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী ও উন্নত করা হয়েছে, যা দেখে শত্রুপক্ষ হামলা চালানোর কথা ভাববেও না।’
ইসরাইলে পাল্টা হামলার আহ্বান জানিয়ে প্রদর্শনী দেখতে আসা আরেকজন বলেন, ‘আমরা যদি জবাব না দেই, প্রতিপক্ষ আমাদের ওপর আরও চড়াও হবে। তাই আমি কর্তৃপক্ষকে বলতে চাই, ইরানের মাটিতে যারা হামলা চালিয়েছে তাদের কড়া জবাব দেয়া হোক।’
ইসরাইলের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এমন প্রদর্শনী নেতানিয়াহু প্রশাসনের জন্য অনেকটা চাপের বলে মনে করছেন মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশ্লেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে, মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ও শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে ইরানের কাছে। এ বিষয়ে ইরান জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলকে দাঁতভাঙা জবাব দেয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমরাস্ত্র হলো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। যদিও তারা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ৯:১২:৩৪ ৬ বার পঠিত