ভোক্তাদের জিম্মি করে আলুর দাম বাড়াচ্ছে সিন্ডিকেটকারীরা

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ভোক্তাদের জিম্মি করে আলুর দাম বাড়াচ্ছে সিন্ডিকেটকারীরা
সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪



ভোক্তাদের জিম্মি করে আলুর দাম বাড়াচ্ছে সিন্ডিকেটকারীরা

অসাধু মজুতদার, ব্যাপারী, ফড়িয়া (অধিকাংশ ব্যবসায়ী ট্রেড লাইসেন্সবিহীন) ও সংশ্লিষ্ট কোল্ড স্টোরেজ ম্যানেজার বা মালিকদের যোগসাজশে অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিকভাবে মূল্য বাড়িয়ে আড়তদারদের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ভোক্তা সাধারণকে জিম্মি করে আলুর দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি’ (সিসিএস) ও এর যুব শাখা ‘কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ’ (সিওয়াইবি)।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) কোল্ডস্টোরেজে আলুর পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও সিন্ডিকেট করে অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ও কোল্ডস্টোরেজে অভিযান চালিয়ে আলু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে ১০ জেলায় মানববন্ধন করেছে সিসিএস ও সিওয়াইবির স্বেচ্ছাসেবীরা।

একই দাবিতে মুন্সিগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, নারায়ণগঞ্জ, শরীয়তপুর, নোয়াখালী, বরগুনা, খুলনা, রংপুর, মৌলভীবাজার ও কিশোরগঞ্জ জেলায় জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়। এতে বলা হয়, বিগত এক মাস ধরে অসাধু ব্যবসায়ীরা কোল্ডস্টোরেজকেন্দ্রিক কূটকৌশলের মাধ্যমে আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ভোক্তা সাধারণকে জিম্মি করে ফেলেছে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত মজুতদাররা আলু সংগ্রহ করে কোল্ড স্টোরেজে রেখেছেন। ওই সময় তাদের আলুর ক্রয় মূল্য কেজি প্রতি ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা। কোল্ড স্টোরেজে রাখার খরচ ৬০ কেজির বস্তাপ্রতি অঞ্চলভেদে ১৮০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকা। তবে কতিপয় মজুতদার, ব্যাপারী, ফড়িয়া (অধিকাংশ ব্যবসায়ী ট্রেড লাইসেন্সবিহীন) ও সংশ্লিষ্ট কোল্ড স্টোরেজ ম্যানেজার বা মালিক যোগসাজশে অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিকভাবে মূল্য বাড়িয়ে আড়তদারদের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ভোক্তা সাধারণকে জিম্মি করে প্রতি কেজি আলু খুচরা পর্যায়ে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রয় করছে।

সিসিএসের সংগ্রহ করা তথ্য অনুযায়ী দেশে বার্ষিক আলুর চাহিদা প্রায় ৯০ লাখ টন। এবার আলু উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি টনের বেশি। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কোল্ড স্টোরেজে ৪০ লাখ টনের বেশি আলু মজুত রয়েছে। যা বছরের বাকি সময়ের জন্য প্রয়োজনীয় চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত।

তবে মজুতদারেরা সরবরাহ কমিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে হিমাগার থেকে বেশি মূল্যে আলু বিক্রয় করছে। পাশাপাশি ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত কোনো রসিদ সংরক্ষণ ও সরবরাহ করছে না।

এ পরিস্থিতিতে কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে অবৈধ বিপণন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হিমাগার ম্যানেজার, দলিল ক্রেতা-বিক্রেতা, ফড়িয়া বা মধ্যস্বত্বভোগী বেপারীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট বা অভিযান জোরদার করে আলুর মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে আনার বিকল্প নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৬:৩৪   ৮ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ
বিজয় দিবসে কোন ধরনের নিরাপত্তা হুমকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
হবিগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা-ছেলের মৃত্যু
কক্সবাজারে শুরু হয়েছে চলতি মৌসুমের লবণ উৎপাদন
তারেক রহমানের শাসনামলে মানুষের মুখে তৃপ্তি দেখতে চান দুদু
দুর্গম পাহাড়ে কেএনএফের আস্তানায় অভিযান, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার
কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে না: গভর্নর
‘পথের পাঁচালী’র উমা দাশগুপ্ত আর নেই
পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ভোক্তাদের জিম্মি করে আলুর দাম বাড়াচ্ছে সিন্ডিকেটকারীরা

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ