কক্সবাজারে শুরু হয়েছে চলতি মৌসুমের লবণ উৎপাদন

প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কক্সবাজারে শুরু হয়েছে চলতি মৌসুমের লবণ উৎপাদন
সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪



কক্সবাজারে শুরু হয়েছে চলতি মৌসুমের লবণ উৎপাদন

জেলায় শুরু হয়েছে চলতি মৌসুমের লবণ উৎপাদন। যা চলবে আগামী এপ্রিল মাস পর্যন্ত।
এ সময়ে সাগরের লোনাপানি শুকিয়ে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, সদর ও টেকনাফ এবং পাশের জেলা চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়া উপকূলে লবণের চাষ হয়। যা থেকে পূরণ হয় দেশের সার্বিক লবণের চাহিদা। এখন এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছেন কক্সবাজারের সাত উপজেলা এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়ার সমুদ্র উপকূলের চাষিরা।

গত ৪ নভেম্বর কুতুবদিয়ায় চলতি মৌসুমে প্রথম লবণ উৎপাদন শুরু হয়। এ উপকূলের ৭০ শতাংশ জমিই এখন লবণ চাষের জন্য প্রস্তুত। এ ছাড়া পেকুয়ায় ৫০, টেকনাফে ১০ শতাংশ ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় ৪০ শতাংশ মাঠ প্রস্তুত হয়েছে। বাকি উপজেলার চাষিরাও মাঠে নামতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে চলতি মৌসুমে কুতুবদিয়া ও বাঁশখালী উপজেলা থেকে ৫৫ টন লবণ সংগৃহীত হয়েছে।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) তথ্য অনুযায়ী, ১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত চলতি মৌসুমে কক্সবাজারের টেকনাফ, সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, চকরিয়া, পেকুয়া, ঈদগাঁও, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ৬৯ হাজার একর জমিতে ২৬ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। গত মৌসুমে ৬৮ হাজার ৫০৫ একর জমিতে লবণ উৎপাদিত হয়েছিল ২৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮৯০ মেট্রিক টন, যা বাণিজ্যিক লবণ উৎপাদন শুরুর পরবর্তী ৬২ বছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড।

পাশাপাশি এক দিনে সর্বোচ্চ ৩৯ হাজার টন লবণ উৎপাদনের নতুন রেকর্ডও সৃষ্টি হয়। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত মাসে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে বৈরী আবহাওয়া ছিল। ফলে লবণ উৎপাদনের জন্য মাঠ প্রস্তুত করতে চাষিদের সময় লেগে যায়।

বিসিকের কক্সবাজার লবণ শিল্প উন্নয়ন প্রকল্প কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভুঁইয়া বলেন, চলতি মৌসুমে প্রথম লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে কুতুবদিয়ায়। বলা যায়, মৌসুম শুরুর ১৫ দিন আগে। এরপর পেকুয়া ও বাঁশখালীতে। এখন ১০ শতাংশ জমিতে লবণ উৎপাদিত হচ্ছে। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে অবশিষ্ট ৯০ শতাংশ জমিতে পুরোদমে লবণ উৎপাদন শুরু হবে। চলবে টানা পাঁচ মাস। তাপমাত্রা বেশি থাকলে লবণের বাম্পার উৎপাদন হতে পারে।

বিসিকের তথ্যমতে, গত বছর ৬৮ হাজার একরের বেশি জমিতে আধুনিক পলিথিন প্রযুক্তি পদ্ধতিতে লবণ উৎপাদন হয়েছে। এবারও শতভাগ জমিতে পলিথিন প্রযুক্তিতে লবণ উৎপাদিত হবে। এ বিষয়ে চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সনাতন পদ্ধতির তুলনায় পলিথিন প্রযুক্তিতে লবণ উৎপাদন আড়াই গুণ বেশি হয়। জেলার ৪৪ হাজার প্রান্তিক চাষি, ১ লাখ শ্রমিকসহ অন্তত ১০ লাখ মানুষ লবণ উৎপাদন, বিপণন, পরিবহন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪৮:৫৪   ১০ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

চট্টগ্রাম’র আরও খবর


কক্সবাজারে শুরু হয়েছে চলতি মৌসুমের লবণ উৎপাদন
দুর্গম পাহাড়ে কেএনএফের আস্তানায় অভিযান, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার
অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনের বেশি এক দিনও থাকতে চায় না
জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের সরকার ও সংসদ দেখতে চায় : আমীর খসরু
অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ক্ষমতা নয়, আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছি : উপদেষ্টা ফাওজুল কবির
চট্টগ্রামে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৫
ডেঙ্গু প্রতিরোধে আলেম-ওলামাদের সহযোগিতা চাইলেন ডা. শাহাদাত
রাঙ্গামাটি শহিদ মিনারে জেলা পরিষদের নেতৃবৃন্দের শ্রদ্ধা
দেশের মানুষ তাদের মালিকানা ফিরে পেতে ১৬ বছর যুদ্ধ করেছে : আমীর খসরু
পার্বত্য অঞ্চলে আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বহুমুখী উৎপাদনশীল ফলনের দিকে ঝুঁকতে হবে-উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ