কপ২৯ সম্মেলনে পর্যাপ্ত জলবায়ু অর্থায়নের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » কপ২৯ সম্মেলনে পর্যাপ্ত জলবায়ু অর্থায়নের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ
বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪



কপ২৯ সম্মেলনে পর্যাপ্ত জলবায়ু অর্থায়নের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিউ কালেক্টিভ কোয়ান্টিফায়েড গোল (এনসিকিউজি)’র আওতায় পর্যাপ্ত জলবায়ু অর্থায়নের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি আজ আজারবাইজানের বাকুতে কপ ২৯ সম্মেলনে বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহবান জানান।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অভিযোজন, প্রশমন এবং ক্ষয় ও ক্ষতিপূরণের জন্য ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন এবং অভিযোজন ও ক্ষয়-ক্ষতিপূরণের জন্য অনুদান ভিত্তিক অর্থায়ন এবং প্রশমনের জন্য স্বল্প সুদের ঋণের প্রস্তাব দেন।

তিনি বলেন, এনসিকিউজি-এর আওতায় সরকারি অর্থায়নই প্রধান উৎস হওয়া উচিত, বেসরকারি খাতও সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। অন্তত ২০ শতাংশ অর্থায়ন ইউএনএফসিসিসির (গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড, অ্যাডাপটেশন ফান্ড) মতো প্রতিষ্ঠিত তহবিলের মাধ্যমে হওয়া উচিত।

জলবায়ু অর্থায়নের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ফাইন্যান্সের মাধ্যমে এর সংজ্ঞা নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

২০২৩ সালের অ্যাডাপটেশন ফান্ড গ্যাপ রিপোর্টের তথ্য তুলে ধরে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, অভিযোজন খাতে বাংলাদেশে প্রতিবছর ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন, যেখানে দেশীয় উৎস থেকে মাত্র ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ হচ্ছে। ফলে ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিশাল ঘাটতি রয়েছে, যা বহিঃস্রোতের অনুদান ভিত্তিক অর্থায়নের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে।

তিনি বলেন, ক্ষয়-ক্ষতিপূরণ তহবিল এবং এনসিকিউজি-এর অগ্রগতিতে ধীরগতি এবং প্রধান দূষণকারী দেশগুলোর উদ্যোগের অভাবে জলবায়ু অর্থায়ন কার্যক্রম পিছিয়ে রয়েছে।

বর্তমান পরিকল্পনাগুলো বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির মাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখতে যথেষ্ট নয়। এই দশকই আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।

এছাড়া, তিনি ওয়ারশ আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়ার পর্যালোচনার স্থবিরতা এবং প্রশমন কর্মসূচির অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন।

তিনি উন্নত দেশগুলোকে তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান।

গ্লোবাল স্টকটেক (জিএসটি)-এর ফলাফলের ভিত্তিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা তিনগুণ এবং জ্বালানি দক্ষতা দ্বিগুণ করার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই জ্বালানির দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রয়োজনীয়তা তিনি তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় অর্থ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা পাওয়া গেলে বাংলাদেশ উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য অর্জন করতে প্রস্তুত।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বিদ্যুৎ সচিব ফারজানা মমতাজ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব একেএম সোহেল।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৫:০৪   ৭২ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
জামায়াত নেতৃবৃন্দের সাথে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
আত্মপ্রকাশ করল নতুন দল গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তি
জুলাই শহীদদের ভুলে গেলে আমরা ভুল পথে চলে যাবো: উপদেষ্টা ফারুকী
ভোট দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হয় না, আসে লুটেরা শ্রেণি : ফরহাদ মজহার
ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন
নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের অধিকার সমান - মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
ভার্গো নক্ষত্রমন্ডলে বিশাল কৃষ্ণগহ্বর ‘জেগে উঠছে’
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হবে প্রশ্নবিদ্ধ, চাঁদাবাজরা ক্ষমতায় আসবে : ফয়জুল করীম

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ