কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, সকল পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে হবে।
তিনি আজ সিলেট আঞ্চলিক কৃষি অফিসারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে সিলেট অঞ্চলের কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার সাথে কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, কৃষিতে প্রকল্প নেয়ার ক্ষেত্রে কৃষকের লাভ, কৃষির উন্নতি ও ফলন বাড়ানোর বিষয়কে প্রাধান্য দিতে হবে। উপদেষ্টা এ বিষয়ে সকলকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জনসংখ্যা বাড়ছে, কৃষি জমি কমছে। তারপরও ১৮ কোটি লোককে খাওয়াতে পারছেন। এ কৃতিত্ব কৃষক, কৃষিবিদ, গবেষক ও কৃষি সংশ্লিষ্ট সবার। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট অনেক কাজ করেছে। তাই ধানের উৎপাদন বেড়েছে। এখন ধান উৎপাদনে ১২০ দিন লাগে। এসময় কিভাবে ১০০ দিনে আনা যায় সেই জাত উদ্ভাবনের কাজ করার জন্য ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটকে তিনি নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, কৃষি উৎপাদন বাড়াতে পর্যাপ্ত সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার যথাসম্ভব কমাতে হবে। ভূ-পৃষ্ঠের উপরের (সারফেস) পানি ব্যবহার বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সিলেট অঞ্চলে বিভিন্ন ধরণে ঘাসজাত আগাছার কারণে চাষ ব্যাহত হচ্ছে। এ সমস্যা দূরীকরণে কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয় করার ক্ষেত্রে যেন কোন দুর্নীতি না হয়।
তিনি বলেন, আপাতত সারের কোন সংকট নাই। বীজেরও সংকট হবে না। কৃষক যাতে পরামর্শ, সার, বীজ ও পানি ঠিকমতো পায় সে ব্যবস্থা করতে হবে। সারের ব্যবহার পরিমিত পরিমাণে করতে হবে। জৈব সার ব্যবহার বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, বাজারে কৃষি পণ্যের মূল্য সঠিকভাবে মনিটরিং করতে হবে। কৃষি বিষয়ক সকল পরিসংখ্যান যেন নির্ভরযোগ্য ও সঠিক হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কৃষি জমি কোনভাবেই কমানো যাবে না। কৃষি বিষয়ক যে কোন প্রকল্প বাস্তবায়নে এ বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।
কৃষি উপদেষ্টা বলেন, এবার আমনের ফলন বেশ ভালো দেখা যাচ্ছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে বন্যায় আমন উৎপাদনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। আমরা আশা করছি বোরো ফলন ভালো হবে। দেশে চালের সংকট হবে না।
এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, সিলেট বিভাগীয় কমিশনারসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:০৯:১৮ ৯ বার পঠিত