শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, শ্রমিকের আকাঙ্ক্ষা ও মর্যাদার জন্য যোগ্য শ্রমবাজার অর্জনে সরকারের প্রচেষ্টার প্রতি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সমর্থন ও নির্দেশনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে আইএলও’র সহকারী মহাপরিচালক ম্যানুয়েলা টোমেই এবং আইএলও প্রতিনিধিদলের সদস্যদের সাথে শনিবার এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত আরও বলেন, অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার শ্রমখাতে স্বচ্ছতা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য দৃঢ় অঙ্গীকারসহ শ্রম শিল্পের উন্নতি ও সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। চলমান সংস্কার প্রক্রিয়াটি পরামর্শমূলক, স্থানীয় বিশেষজ্ঞ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিশেষ করে আইএলও’র পরামর্শের ভিত্তিতে হবে।
আইএলও’র সহকারী মহাপরিচালক ম্যানুয়েলা টোমেই’র এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে বাংলাদেশ শ্রম আইনের সংশোধনী চূড়ান্ত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ত্রিপক্ষীয় সামাজিক সংলাপের প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করা আমাদের জন্য একটি অগ্রাধিকার বিষয়।’
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বাংলাদেশে বাস্তবায়িত পাইলট এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিম উৎসাহজনক প্রাথমিক আশানুরূপ ফলাফল দিয়েছে। আমাদের লক্ষ্যগুলোর অংশ হিসেবে স্কিমটিকে রেডিমেড গার্মেন্টস সেক্টরের বাহিরেও প্রসারিত করতে চাই, যাতে সমস্ত শ্রমিক সঠিকভাবে কাজ করতে পারে। তিনি আইএলও প্রতিনিধিবৃন্দকে আশ্বস্ত করেন যে আমরা ত্রিপক্ষীয় পরামর্শমূলক কাউন্সিল (টিসিসি) এবং আরএমজির সাথে জাতীয় ও সেক্টরাল পর্যায়ে ত্রিপক্ষীয় সামাজিক সংলাপ প্ল্যাটফর্মগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।
বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:২৯:৩৭ ১৬ বার পঠিত