পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, খরা ও ভূমি ক্ষয়ের মতো সমস্যাগুলো মোকাবেলায় অবিলম্বে সম্মিলিত পদক্ষেপ ও যৌথ বিনিয়োগ প্রয়োজন।
তিনি আজ সৌদি আরবের রিয়াদে চলমান জাতিসংঘের মরুকরণ প্রতিরোধ কনভেনশনের (ইউএনসিসিডি) ষোড়শ সম্মেলনের মিনিস্টিরিয়াল ডায়ালগ অন ড্রট রেজিলিয়েন্স: ফ্রম জেনেভা টু রিয়াধ অ্যান্ড বিয়ন্ড, এনহাঞ্চিং গ্লোবাল অ্যান্ড ন্যাশনাল পলিসি ইনস্ট্রুমেন্টস ফর আ প্রোঅ্যাকটিভ ড্রাউট ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ্রোচ’ শীর্ষক স্পেশাল সেগমেন্টে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি তুলে ধরে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের প্রতি জলবায়ু পরিবর্তন, প্রশমন ও অভিযোজন কর্মসূচি জোরদার করার আহ্বান জানান।
নিম্ন অববাহিকার দেশ হিসেবে পরিবেশ উপদেষ্টা সমতার নীতি, ক্ষতি না করা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে অভিন্ন নদী অববাহিকা ও আন্তর্জাতিক পানি সম্পদ সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
জাতিসংঘের পূর্বাভাসে ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক পানি সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে ৪০ শতাংশ ঘাটতির কথা উল্লেখ করে তিনি পানির অধিকারকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান।
উন্নয়ন কার্যক্রমে সাবধানতামূলক নীতির ওপর জোর দিয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পরিবেশ ও সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন (ইএসআইএ), জনসম্পৃক্ততা এবং স্থানীয় জ্ঞানকে সম্মান জানানোর আহ্বান জানান।
পানিনির্ভর শিল্প ও কৃষি চর্চার জন্য টেকসই সম্পদ ব্যবস্থাপনায় প্রণিধানযোগ্য নিয়ম প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, কৃষক, বননিবাসী, নারী ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মধ্যে আনতে হবে।
তিনি প্রযুক্তি, আর্থিক সহায়তা এবং ন্যায়বিচারের সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে এই সম্প্রদায়গুলোকে ক্ষমতায়নের আহ্বান জানান।
পরে তিনি ইউএনসিসিডিকে প্রযুক্তি স্থানান্তর সহজতর করতে এবং ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে সহায়তা দিতে ভূমিকা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
বৈশ্বিক ও জাতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও দৃষ্টিভঙ্গি জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি কপ১৬-এর মতো ফোরামের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অধিবেশনে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফরহিনা আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪৩:৩৯ ১৬ বার পঠিত