একদিনের ব্যবধানে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তাপমাত্রার পারদ তিন ডিগ্রি বেড়েছে। তবে কোনো অংশে শীতের তীব্রতা কমেনি। বেলা বাড়লেও ঘন কুয়াশায় ঢাকা পুরো জেলা।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে রাস্তায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। কনকনে শীত আর কুয়াশার কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না মানুষ। বিশেষ করে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। কাজ করতে না পারায় বেকার ঘরেই বসে সংসার চালানো নিয়ে পড়েছেন দুশ্চিন্তায়।
জেলার বিভিন্ন ঘুরে দেখা গেছে, গরম কাপড়ের অভাবে রাত হলেই শীতে কাঁপছেন অসহায় মানুষ। অপরদিকে জেলা সদরের আধুনিক সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, ৩০ নভেম্বর সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ২ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি, ০৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। ৪ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৫ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে ৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, ৭ ডিসেম্বর ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ৮ ডিসেম্বর ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ৯ ডিসেম্বর ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় সময় সংবাদকে বলেন, তাপমাত্রা ওঠা-নামা করলও বাড়ছে শীতের তীব্রতা। একই সঙ্গে আকাশে মেঘ থাকায় কুয়াশার পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত সোমবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ২৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত তাপমাত্রার পারদ আরও কমে আসছে। সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে রাতে ও সকালে।
বাংলাদেশ সময়: ১২:০২:১৭ ১৮ বার পঠিত