জার্মানিতে থাকা সিরীয় শরণার্থীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থাকে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বানও জানান তিনি। একইসঙ্গে সিরিয়া পুনর্গঠনে ৮০ লাখ ইউরো আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে বার্লিন।
দীর্ঘ ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধ শেষে স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের পতনের পর নতুন সম্ভাবনায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়া। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির পুনর্গঠনে ৮০ লাখ ইউরো দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি।
বুধবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে বিশ্বের সবাইকে মানবিক হতে হবে। এমনকি সিরিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোকে আরও উদারভাবে এগিয়ে আসতে হবে। ইচ্ছে করলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয়প্রাপ্ত সিরীয়রা নিজেদের দেশে ফিরে যেতে পারে।
তিনি বলেন, একইসাথে সিরিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি অন্ধকারে, নতুন করে শরণার্থীর সংখ্যা বাড়তেও পারে। আবার নিজ দেশে ফিরে যাবার সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে। তাই আমরা সিরিয়ার প্রতিবেশী দেশ ও জাতিসংঘের কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।
এ সময় বেয়ারবক কয়েকটি ধাপে ধ্বংস হয়ে যাওয়া সিরিয়ার পুনর্গঠনের বিষয়ে তার সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে বলেন, দেখুন আমরা সিরিয়ার কিছুটা হলেও আশা দেখতে পাচ্ছি। তাই ৮টি ধাপে দেশটিকে গড়তে আমরা প্রস্তাব করছি। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে অব্যাহত সাহায্যের অংশ হিসেবে নতুন করে ৮০ লাখ ইউরো দিতে সম্মত হয়েছি। এই অর্থ শরণার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
২০১৫ সালে যুদ্ধকালীন সময়ে ৮ লাখের বেশি শরণার্থী জার্মানিতে আশ্রয় নেয়। তবে গত সোমবার থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর জার্মানিতে সিরীয় শরণার্থীদের রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন আপাতত স্থগিত করেছে জার্মান সরকার। একই সঙ্গে জার্মানিতে থাকা সিরীয় শরণার্থীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৩৭:০৬ ৪ বার পঠিত