চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ প্রতিদিনই একটু একটু করে কমছে। একদিনের ব্যবধানে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে। একই সঙ্গে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৫ শতাংশ।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। ছিন্নমূল আর নিম্নআয়ের মানুষগুলো শীতে বেশি কষ্ট পাচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ঠান্ডার কারণে রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলক কম। শীত নিবারণের জন্য মানুষ কয়েকটি গরম কাপড় পরিধান করছে। তারপরও শীত থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা জয়রামপুর গ্রামের হযরত আলী নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘শীতের কারণে ঘরের বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। শীত সহ্য করা সম্ভব হচ্ছে না। দিনের বেলা ও রাতের বেলা শীত অনুভূত হচ্ছে।’
চুয়াডাঙ্গা ভালাইপুর গ্রামের মুদি দোকানি রহিম মণ্ডল জানান, শীতের কারণে বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। শীতের মধ্যে দোকান খুলে বসে থাকলেও মানুষ বাইরে আসছে না।
চুয়াডাঙ্গায় গরমের সময় গরম আর শীতের সময় শীত বেশি। জেলার বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাধারণ মানুষদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
চুয়াডাঙ্গা হিজলগাড়ি গ্রামের কৃষক জালাল হোসেন বলেন, ‘ঘরে বরফের মত ঠান্ডা অনুভূত হয়। মাঠে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। শরীর ঠান্ডায় জমে যাওয়া মত অবস্থা তৈরি হয়। একটানা কাজ করা যায় না।’
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলমান রয়েছে। ঠান্ডা বাতাসের কারণে তাপমাত্রা কমছে। একদিনের ব্যবধানে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা কমেছে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতেই শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে।
এরআগে শুক্রবার চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ১১:১৪:২৬ ৩৫ বার পঠিত