ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়া চুয়াডাঙ্গার আকাশ। গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মত ঝরছে কুয়াশা। ঠান্ডা বাতাসে জনজীবনে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এতে সড়কে মানুষের উপস্থিতি কম।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ। দৃষ্টিসীমা ৫০০ মিটারের মত।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে কম বের হচ্ছে। খড়কুটোয় আগুন জ্বেলে মানুষ উষ্ণতা নেয়ার চেষ্টা করছে। খেটে খাওয়া আর ছিন্নমূল মানুষগুলো বেশি বিড়ম্বনায় পড়ছে। গতকাল শনিবার আকাশ মেঘলা থাকলেও তা কেটে গেছে।
চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা কলাবাড়ি গ্রামের ভ্যানচালক মোনাজাত আলি বলেন, ‘বয়স হয়েছে শীত তো লাগছেই। পেটের দায়ে ঘর থেকে বের হতে হয়। রাস্তায় শীত বেশি। গরম কাপড় পরেও শীত থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন।’
আলমডাঙ্গা ভাংবাড়িয়া গ্রামের পথচারী কামাল হোসেন জানান, শীতের কাপড় বেশ কয়েকটা পরেও রক্ষা হচ্ছে না। কুয়াশায় শরীর ভিজে যাচ্ছে। ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে। খুব কষ্ট হচ্ছে চলাফেরা করতে।
বাসচালক সোহরাব সরকার বলেন, ‘এক দিকে প্রচণ্ড শীত পড়ছে। কুয়াশার কারণে গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। কুয়াশার কারণে সামনে কিছু দেখা যাচ্ছে না। ঘন কুয়াশা থাকলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বেশি থাকে।’
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী কুলসম খাতুন বলেন, ‘ভোরে প্রাইভেট পড়তে বাড়ির বাইরে আসতে হয়। শীতের কারণে বাইরে যেতে খুব কষ্ট হয়। পৌষ মাসের হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে।’
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশ ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন। কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা মিলবে দেরিতে। ঠান্ডা বাতাসের কারণে জনজীবনে শীত অনুভূত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৫৩:১৬ ৮ বার পঠিত