টাঙ্গাইলে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় নারীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। গত শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার সোহাগপুর এলাকার একটি হিন্দু বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পুলিশ তাদের আটক করে। আটক নারী সদস্যদের কপালে টিপ ও সিঁধিতে সিদুর দেওয়া ছিল। এ ঘটনায় শনিবার বিষয়টি জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু।
এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল গ্রামের মৃত খালাই মিয়া ওরফে কালাম মিয়ার ছেলে সুরত মিয়া (৩৮), একই গ্রামের আবু মিয়ার মেয়ে তাসলিমা (৩২), মৃত ইউনুস আলীর মেয়ে আসমা বেগম (৩০), মৃত কালাম মিয়ার মেয়ে মোছা. আলেয়া (৩৭), আব্দুল কাদিরের মেয়ে সোনিয়া আক্তার (২১), নুরু মিয়ার মেয়ে মোছা. রিফা আক্তার (২৬), একই উপজেলার সরাইল গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের মেয়ে আকলিমা বেগম (৪০), একই জেলার সরাইল উপজেলার বন্দরআটি (সাবদু মিয়ার বাড়ী) গ্রামের মৃত সমুজ আলীর মেয়ে সেলিনা বেগম (৩২), হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা গ্রামের রমজান মিয়ার মেয়ে জুলেখা বেগম (৩১) এবং ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার কুশমাইল টেকিপাড়া গ্রামের ছামসুল হকের ছেলে মো. সেলিম সরকার (৩৭)।
জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা গাজীপুরের সালনা থেকে শুক্রবার রাতে একটি মাইক্রোবাসে করে মির্জাপুরের সোহাগপুরে এসে একটি হিন্দুবাড়িতে ডাকাতির প্রস্ততি নিচ্ছিল। ডাকাত দলের নারী সদস্যরা শাখা ও সিঁদুর পরে সনাতন ধর্মাবলম্বী সেজেছিল। এ সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি উত্তর) ওসি এ বি এম এস দোহারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের ব্যবহৃত গাড়িটিও জব্দ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন বাড়িতে ডাকাতির আগে নানা তথ্য সংগ্রহ করে নিজেদেরকে সেভাবে প্রস্তুত করে নেয়। পরে কৌশলে বাড়িতে ঢুকে ডাকাতি করে চলে যায়। ডাকাত দলের নেপথ্যে জড়িতদের খুঁজে বের করতে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২২:০৫ ১৫ বার পঠিত