জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব কমানোর কোনো উদ্যোগ বিএনপির পক্ষ থেকে নেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, এমন কোনো দূরত্বের কিছু নেই। তারাও গণতন্ত্র চায়, নির্বাচন চায়। মানুষের অধিকারের কথা বলে, আমরাও বলি। কিন্তু যদি কেউ বলে, শুধু তারাই দেশপ্রেমিক, তাহলে তো আমাদের কষ্ট লাগবেই। আমরা তো বলবো, ভাই কথাটা ঠিক না।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমমনা জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, জামায়াতের সঙ্গে ফরমালি যুগপৎ আন্দোলনে আমরা ছিলাম না। তাদের কর্মসূচি আমাদের কর্মসূচি একরকম ছিল না। কিন্তু তারা আন্দোলনে ছিলেন। নিশ্চয়ই আগামী দিনে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সবাই আমরা থাকবো, তারাও থাকবে। এটা নিয়ে কনফিউশনের কিছু নেই।
দেশে পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক শক্তি আছে দুটি। এর একটি সেনাবাহিনী, আরেকটি হলো জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের দেওয়া এমন বক্তব্যে কষ্ট পেয়েছেন বিএনপি নেতারা এ কথা জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমরা সবাই দেশপ্রেমিক। আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি, তারপর যদি বলেন শুধু আপনি দেশপ্রেমিক, আপনার আরেক বন্ধু দেশপ্রেমিক। তাহলে তো আমাকে বাদ দিলেন আপনি। এটাতো কষ্ট লাগার কথা। আমরা আশা করবো এরকম কথা কেউ না বলুক।
বৈঠকে অন্যন্যের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম, এনডিপির চেয়ারম্যান আবু তাহের, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি নাসিম খান, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র দাস এবং জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এস এম শাহাদাত উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:০৯:২০ ৫ বার পঠিত