চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ার দিনেই জ্বলে উঠলেন লিটন দাস, যেন জবাব দিতে চাইলেন ব্যাট দিয়েই। লিটনের চোখধাঁধাঁনো ব্যাটিংয়ের দিনে আসরে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। দুর্বার রাজশাহীকে ১৪৯ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে টানা ছয় ম্যাচে হারের পর অবশেষে স্বস্তির জয় পেয়েছে ঢাকা। বিপিএলের ইতিহাসে রানের ব্যবধানে এটিই সবচেয়ে বড় জয়।
আজ রবিবার (১২ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে রীতিমতো তান্ডব চালিয়েছেন লিটন দাস। তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। অপর প্রান্তে তানজিদ তামিমও কম না, তিনিও পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে রেকর্ড বইয়ের পাতা যেন ওলট-পালট দিলেন লিটন-তানজিদ। রেকর্ডবুক ওলট-পালটের দিনে জোড়া সেঞ্চুরিতে ১ উইকেটে ২৫৪ রানে থেমেছিল ঢাকা ক্যাপিটালস। জবাবে মাত্র ১০৫ রানেই গুটিয়ে গেল দুর্বার রাজশাহী। তাতে ১৪৯ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেল শাকিব খানের দল।
বড় লক্ষ তাড়া করার ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীর হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন মোহাম্মদ হারিস ও সাব্বির হোসেন। তবে ইনিংসের প্রথম ওভারেই ভেযে যায় এই জুটি। ৫ বলে শূন্য রান করে আজ সাজঘরে ফিরে যান মোহাম্মদ হারিস।
মোহাম্মদ হারিসের বিদায়ের পর সাজঘরে ফিরে যান এনামুল হক বিজয়ও। তিনিও শূন্য না করেই সাজঘরে ফিরে যান। তার বিদায়ে ৩ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে রাজশাহী।
৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন ইয়াসির আলী ও সাব্বির হোসেন। তবে তারাও নিজেদের জুটিকে বেশিদূর নিয়ে যেতে ব্যর্থ হন। দলীয় ১৬ রানে সাব্বির হোসেনের বিদায়ে ১৩ রানেই ভেঙে যায় এই জুটি।
১২ বলে ১১ রান করে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর বলে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান সাব্বির। তার বিদায়ে ১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে রাজশাহী।
সাব্বির হোসেনের বিদায়ের পর একে একে সাজঘরে ফিরে যান আকবর আলী ও এসএম মেহেরব। আকবর আলী ৪ বলে ১ ও এসএম মেহেরব ৭ বলে ৪ রান করে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। তাদের দ্রুত বিদায়ে ৩৪ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে এনামুল হক বিজয়ের দল।
৩৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন ইয়াসির আলী ও রায়ান বার্ল। এই জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে রাজশাহী। তবে বেশিদূর এগোনোর আগে এই জুটিকে থামান ফারমানুল্লাহ শাফি।
ফারমানুল্লাহ শাফির বলে মুনিম শাহরিয়ারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ইয়াসির আলী। আউট হওয়ার আগে করেন ১৩ বলে ১৭ রান। তার বিদায়ে ভাঙে ২৭ রানের জুটি।
ইয়াসির আলীর বিদায়ের পরের বলেই সাজঘরে ফিরে যান সোহাগ গাজী। মোহাম্মদ হারিস আর এনামুল হক বিজয়ের পর সোহাগ গাজীও ফিরে যান সাজঘরে। তার বিদায়ে ৬১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে রাজশাহী।
৬১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন সানজামুল ইসলাম ও রায়ান বার্ল। অষ্টম উইকেটে তারা গড়েন ৩৪ রানের জুটি। এই জুটি ভাঙার পর দ্রুতই গুটিয়ে যায় রাজশাহী।
শেষ দিকে বার্লের অপরাজিত ৪৭ রানের ইনিংস কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। রাজশাহী ১০৫ রানে থামলে ১৪৯ রানে জয় পায় ঢাকা। বিপিএলের ইতিহাসে রানের ব্যবধানে এটিই সবচেয়ে বড় জয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১২:২০ ৮ বার পঠিত