শান্তির বার্তা বা হুঁশিয়ারি যাই হোক প্রতিবেশী দেশের পাশাপাশি অন্যদেশগুলোর সঙ্গেও সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দিচ্ছে ইরান। যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নত করতে কাবুল সফরে গেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবারের মতো ইরানের কোনো শীর্ষ কর্মকর্তা আফগানিস্তানে সফর করছেন।
স্থানীয় সময় রোববার (২৬ জানুয়ারি) তালেবানের মুখ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান আখন্দের সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্কের উন্নতি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিবেশী দেশ ইরান ও আফগানিস্তানের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার জন্য এই বৈঠক হয় বলে জানা গেছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমায়েল বাকাই জানিয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একদিনের এই সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করা এবং পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষার প্রচেষ্টার অংশ।
সফরে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে সাক্ষৎ করেছেন আরাগচি। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অর্থনৈতিক বিষয়ের উপ-প্রধানমন্ত্রী আবদুল গনি বারাদারের সঙ্গে বসার কথা রয়েছে তার।
ইরানের কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্রও। এরমধ্যেই তালেবান নেতাদের মাথার ওপর পুরস্কার ঘোষণার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তার দাবি বেশ কিছু মার্কিন নাগরিককে আটকে রেখেছে আফগান প্রশাসন। তাদেরকে ফেরত না দিলে ওসামা বিন লাদেনের মাথার থেকেও বেশি অর্থের পুরস্কার ঘোষণা করা হবে বলে জানান রুবিও।
ইরান, আফগানিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক ও সামরিক কার্যক্রম বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন মোড় দিতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১১:২১:৩৩ ৯ বার পঠিত