বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের আহ্বান জানালেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, লাওস পিডিআর, কেনিয়া, জাম্বিয়া এবং সাইপ্রাসের মতো বন্ধু দেশগুলোর সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানি ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ বঙ্গভবনে পৃথক পৃথক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত এক দেশের রাষ্ট্রদূত ও তিন দেশের হাই কমিশনারদের কাছ থেকে পরিচয়পত্র গ্রহণের সময় রাষ্ট্রপতি এই আহ্বান জানান।
এছাড়াও, শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন, ওষুধ, পাট ও পাটজাত পণ্য, সিরামিক, তৈরি পোশাক শিল্পে, বস্ত্র, চা এবং সামুদ্রিক খাবারের মতো অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর জোর দেন তিনি।
রাষ্ট্রপ্রধান বাংলাদেশী তৈরি আন্তর্জাতিক মানের ওষুধ, তৈরি পোশাক, সিরামিক, চা, সামুদ্রিক খাবার এবং পাটজাত পণ্য সহ বাংলাদেশী পণ্য আমদানি বৃদ্ধিতে দূতদের সহযোগিতা চাইলেন।
পরিচয়পত্র পেশকারী রাষ্ট্রদূতরা হলেন: লাওস পিডিআরের বাউনি ভ্যানমানি, কেনিয়ার মুনিরি পিটার মাইনা, জাম্বিয়ার পার্সি পি. চান্দা এবং সাইপ্রাসের ইভাগোরাস ভ্রিওনাইডস।
ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল এবং বিনিয়োগ ফোরাম সহ বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাব করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য যৌথ উদ্যোগ অন্বেষণের উপর জোর দেন।
নতুন রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সর্বদা পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে এবং জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থায় অংশীদারিত্ব বজায় রাখে।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, উপরোক্ত দেশগুলোর মধ্যে আরো ভালো বোঝাপড়া এবং সদিচ্ছা বৃদ্ধির জন্য জনগণের সাথে যোগাযোগ বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ।
বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতিসংঘের বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বশান্তি নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তিনি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং টেকসই উন্নয়ন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সংরক্ষণ এবং সবুজ প্রযুক্তিতে যৌথ উদ্যোগের কৌশলের কথাও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন। তিনি জাম্বিয়া এবং কেনিয়ার রাষ্ট্রদূতদের কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য চুক্তি সম্পাদনের জন্যও বলেন।
রাষ্ট্রপতি সাইপ্রাসের হাই কমিশনারকে ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সহজীকরণ করে আরো বেশি বাংলাদেশী শিক্ষার্থী এবং দক্ষ অভিবাসীদের তাঁদের দেশে সুযোগ দেয়ারও আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত প্রশংসা করেন এবং ঢাকায় তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবরা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, বঙ্গভবনে পৌঁছানোর পর রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি চৌকস অশ্বারোহী দল রাষ্ট্রদূতদের ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪৪:৩৬ ১০ বার পঠিত