জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের সালিশকে অমান্য করে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে প্রতিপক্ষকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।
গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করে সাংবাদিকদের কাছে এসব তথ্য জানান।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়দের সুত্রে জানা যায়, মাদারগঞ্জ উপজেলার সিদুলী ইউনিয়নে রায়ের ছড়া মধ্যপাড়া এলাকার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে কুয়েত প্রবাসী মুক্তা এবং একই গ্রামের আব্দুস জব্বারের ছেলে মনিরুজ্জামান মনির সাথে দীর্ঘদিন ধরে বসতবাড়ি সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
তাই এই বিরোধ নিরসনের লক্ষ্যে উভয় পক্ষের সম্মতিতে গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই সালিশ বৈঠকে উভয় পক্ষের সমস্ত দলিলাদি পর্যালোচনা করে মাতব্বরগণ সিদ্ধান্তে উপনীত হন এবং বসতবাড়ির জমির পরিমাপ করেন। এতে প্রবাসী মুক্তারের মধ্যে কয়েক ফুট জায়গা পেয়ে যান আব্দুস জব্বারের ছেলে মনির। পরে বিজ্ঞ সালিশিয়ানরা সীমানার চিহ্ন হিসেবে ছোট্ট খুঁটি পুঁতে দেন।
পরে মুক্তা ও তার স্ত্রী মমতা বেগম এই সালিশ বৈঠকের বিচার অমান্য করে চলে যায়। আর এই নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে চাপাক্ষোভ বিরাজ করে।
এর পাঁচদিন পর, সেচ পাম্পের বিদ্যুতের তার কেটে শর্ট সার্কিট করেছে মনির এমন অভিযোগে মনির ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মাদারগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন মুক্তা। পরে পুলিশ এব্যাপারে তদন্ত করে গেছেন বলে জানান মনিরুজ্জামান মনির।
ভুক্তভোগী মনিরুজ্জামান মনির বলেন, আমাদের বসতি জমির কিছু অংশ তারা জোরপূর্বক এতদিন দখল করে রেখেছিল। সালিশিয়ান ব্যক্তিবর্গ সুষ্ঠু বিচারের মধ্য দিয়ে সেই জমি বের করে দিলে তারা বিচার মানতে অনিহা প্রকাশ করেন। এছাড়াও তারা সকলেই প্রবাসী। তাদের অঢেল অর্থবিত্ত আছে। তাই তারা আমাদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে। আমরা এই মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাই ও বিচার চাই।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মুক্তা বলেন, তারা দীর্ঘদিন যাবত আমাদের সাথে শত্রুতা করে আসছে। তাদের কোন জমি আমাদের মধ্যে নেই। তবুও তারা জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করছে।
মুক্তার স্ত্রী মমতা বলেন, থানায় অভিযোগ কি কেউ এমনি করে। তারা অবশ্যই বিদ্যুৎতের তার কেটেছে। আমি রাত ১টার সময় বাড়ীর ছাঁদ থেকে দেখেছি।
এঘটনায় সালিশ বৈঠকে সভাপতি আব্দুল হামিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সীমানায় গাছ সহ মুক্তার মধ্যে মনির জমি পাবে এটা সত্যি। কিন্তু মুক্তা কোন বিচার সালিশ মানতে চায় না।
এ বিষয়ে মাদারগঞ্জ মডেল থানার (ওসি) মোঃ হাসান আল মামুন বলেন,অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিল। দুই পক্ষকে ডেকে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১:১৬:০২ ৭৭ বার পঠিত