![তিস্তাকে শাসন করে মানুষের কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত করা হবে: দুলু](https://www.news2narayanganj.com/cloud/archives/2025/02/9x5dt7a2-thumbnail.jpg)
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে যেমন পরাজিত করেছি, তেমনই তিস্তাকে শাসন করে মানুষের কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত করব ইনশাআল্লাহ বলে জানিয়েছেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের হরিপুর তিস্তা ব্রিজ পয়েন্টে নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুলু এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তিস্তা শুধু একটি নদী নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিস্তা আমাদের জীবনরেখা, এর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতেই হবে।’
সাবেক উপমন্ত্রী দুলু আরও বলেন, ‘যারা দীর্ঘ ১৬ বছর রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল, তারা শুধু নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করেছে, জনগণের দিকে তাকাননি। ৮ হাজার কোটি টাকা দিতে চেয়েছিল চীন। তারা সমীক্ষা ও ডিজাইনও করেছিল, কিন্তু সরকার ভারতের পররাষ্ট্রনীতির কাছে নতজানু হওয়ার কারণে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়নি। এখন আর আমরা ভারতের কথা শুনব না। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশ যদি সাহায্য না করে, বাংলাদেশের অর্থেই এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি এবং সমস্বরে দাবি উত্থাপন করি, তাহলে যেকোনো সরকারই এটা মানতে বাধ্য হবে।’
সাবেক উপমন্ত্রী বলেন, ‘যারা বিএনপি করি, তারা এক জায়গায় দাঁড়াতে পারিনি। যেখানে গেছি, পুলিশ হামলা করেছে। জনগণের দাবি নিয়ে আমাদের কথা বলার সাহস ছিল না। আমরা যেখানেই দাঁড়িয়েছি, তারা আমাদের ধরে জেলে পাঠিয়েছে, খুন ও গুম করেছে। সারা দেশে আমাদের নেতাকর্মীদের রক্তাক্ত করেছে পুলিশ। অনেকেই পঙ্গু হয়েছে। তবু বিএনপি জনগণের দাবি থেকে পিছিয়ে যায়নি। দাবি আদায় করেই ছেড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশের উন্মোচন ঘটেছে। এখন আমরা কথা বলতে পারি, দাবি আদায় করতে পারব ইনশাআল্লাহ। সে কারণে আমি রংপুরবাসীকে বলি ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই।’
অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, ‘এই দাবির সঙ্গে তারেক রহমান ইতিমধ্যে একমত প্রকাশ করেছেন। তিনি ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বক্তব্য দেবেন। আর ১৭ ফেব্রুয়ারি বিএনপির মহাসচিব অবস্থান কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। আশাকরি, আগামী দিনে বাংলাদেশের মানুষের ম্যান্ডেট নিয়ে যিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন, তিনি যদি আমাদের দাবির সঙ্গে সমস্বরে কথা বলেন, তাহলে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।’
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের আয়োজনে এ সভায় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন গাইবান্ধা জেলা সমন্বয়কারী ও জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাবুল আহমেদ ও সদস্য সচিব মাহমুদুল ইসলাম প্রামাণিকের যৌথ সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন: বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন্নবী টিটুল, সহ-সভাপতি শহীদুজ্জামান শহীদ, মোজহারুল ইসলাম, আব্দুল আউয়াল আরজু, অ্যাড. জাহাঙ্গীর আলম জিন্নাহ, অধ্যাপক ডা. জিয়াউল হক জিয়া, সুন্দরগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ইখতিয়ার উদ্দিন ভূঁইয়া নিপন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৫৯:২০ ১১ বার পঠিত