লবণ শিল্প রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » লবণ শিল্প রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান
বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫



লবণ শিল্প রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান

দেশীয় লবণ শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা ও জনগণের জীবন জীবিকা রক্ষায় প্রধান উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন কক্সবাজার লবণ চাষি ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সল্টের (শিল্প লবণ) নামে লবণ আমদানি বন্ধ করে দেশীয় লবণ শিল্পকে রক্ষার নিমিত্তে মাঠ পর্যায়ে প্রান্তিক চাষিদের উৎপাদিত লবণের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ জামিল ইব্রাহিম।

বক্তারা বলেন, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম বাংলাদেশের একমাত্র দেশীয় লবণ উৎপাদন কেন্দ্র। এরমধ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশ লবণ উৎপাদন হয় কক্সবাজারের টেকনাফে। এছাড়াও কক্সবাজার সদর, ঈদাগাঁও, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, চকরিয়া এবং অবশিষ্ট ৫ শতাংশ লবণ উৎপাদন হয় চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায়। গত মৌসুমে প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকায় দেশীয় উৎপাদিত লবণ দেশের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছে।

বিসিকের তথ্য মতে, গত অর্থবছরে উৎপাদিত লবণ চাহিদা মিটিয়ে বর্তমানে আরও ২ লক্ষ ২২ হাজার মেট্রিক টন পর্যন্ত মজুদ আছে। চলতি মৌসুমে প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকায় লবণ উৎপাদন প্রক্রিয়া ভালোভাবেই চলছে। প্রায় ৬৫ হাজার একর জমিতে লবণ উৎপাদন হয়, যা ক্রমান্বয়ে আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশীয় লবণ শিল্পের সঙ্গে প্রায় ৬৫ হাজার চাষি সক্রিয়ভাবে জড়িত। লবণের ব্যবসা করে কক্সবাজারের ৬০ শতাংশ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে।

বক্তব্যে আরও বলা হয়, চলতি মৌসুমে দেশে লবণ উৎপাদনের অতীতের রেকর্ড ভাঙ্গতে চাইলেও লবণ মিল মালিকদের সিন্ডিকেট লবণ উৎপাদন কমানোর জন্য চাষিদের সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধে নেমেছে। যাতে লবণ চাষিরা চলতি মৌসুমে লবণ চাষের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং লবণ উৎপাদনে ঘাটতি তৈরি হয়। এরই অংশ হিসাবে চলতি মৌসুমের শুরুতেই লবণ মিল মালিকেরা বস্তা প্রতি (প্রতি বস্তা ৮০ কেজি) ১৪০০ টাকা থেকে দফায় দফায় কমাতে কমাতে বর্তমানে ৬৪০ টাকায় নামিয়ে এনেছে। কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে প্রতি কেজি লবণ উৎপাদন খরচ প্রায় ১৫ টাকা হলেও মাঠ পর্যায়ে প্রান্তিক চাষিরা লবণ বিক্রি করছে প্রতি কেজি ৫ টাকা ৫০ পয়সায়।

মাঠ পর্যায়ে লবণের দাম কম হলেও বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেটজাত লবণ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০-৪৫ টাকায়। অন্যদিকে লবণ মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে নিজেদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি করছে। দেশীয় লবণ শিল্পকে ধ্বংস করার জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল লবণের নাম দিয়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে লবণ আমদানির এলসি অনুমোদন করার পাঁয়তারা করছে, যা লবণ শিল্পকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪৫:২৩   ১০ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


খিলগাঁওয়ে স-মিলে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট
একুশের চেতনা মৌলিক অধিকার হরণকারী স্বৈর শক্তিকে রুখতে উদ্বুদ্ধ করে : কাদের গনি চৌধুরী
ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ধরে রাখতে হবে : এ্যানী
জামালপুরে জুম্মা নামাজের সময় মোবাইল মার্কেটে চুরি আটক- ১
একুশ মানে মাথা নত না করার দৃঢ় প্রত্যয় : প্রধান উপদেষ্টা
ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল-এ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
কলম্বোতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
অপারেশন ডেভিল হান্টের দুই সপ্তাহে গ্রেপ্তার ৭ হাজার ৩১০
দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশ দুতাবাসে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন
ফ্যাসিস্ট আমলে বারবার শুনতাম খেলা হবে, সেই খেলা আর দেখতে চাই না

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ