লালমনিরহাট জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা কামরুল হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে, বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর খিলক্ষেত নিকুঞ্জ ও ধানমন্ডি থেকে শ্যামল ও কামরুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে তাদের লালমনিরহাটে নিয়ে আসা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল ও তার অন্যতম সহযোগী কামরুল বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থেকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দ্বারা জনমত গড়ে তোলাসহ দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করছিলেন। আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামলের বিরুদ্ধে রংপুর কোতোয়ালি ও হাতীবান্ধা থানায় বিভিন্ন অভিযোগে মামলা ও সাধারণ ডায়েরি (জিডি) রয়েছে। তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী কামরুল হাসান ও হাতীবান্ধা থানায় একটি মামলা এবং পাটগ্রাম থানার তিনটি ভয়ভীতি প্রদর্শনের জিডি রয়েছে। তারা দুজনই পলাতক ছিলেন। গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার মধ্য গড্ডিমারী এলাকার মৃত মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমানের পুত্র। তিনি ওই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও গড্ডিমারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যন।
তার সহযোগী কামরুল হাসান জেলার পাটগ্রাম উপজেলার আঙ্গরপোতা দহগ্রাম এলাকার মোহাম্মদ ফজলুল হকের পুত্র। তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও জয় বাংলা ব্রিগেডের সক্রিয় সদস্য। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪২:২৬ ১৩ বার পঠিত