
ইউক্রেনকে সামরিক সহযোগিতা দেওয়া সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার পর এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি। স্থানীয় সময় সোমবার (৩ মার্চ) একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, যতক্ষণ না ট্রাম্প মনে করবেন দেশটির (ইউক্রেনের) নেতারা শান্তির প্রতি অঙ্গীকারের সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত সহযোগিতা বন্ধ থাকবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ফক্স নিউজ বলেছে, এটি স্থায়ীভাবে সহযোগিতা বন্ধ নয়, এটি সাময়িক সময়ের জন্য।
যুক্তরাষ্ট্রের যেসব সামরিক সরঞ্জাম এখন ইউক্রেনে নেই, সেগুলো এই সাময়িক সহযোগিতা বন্ধের আওতায় পড়বে। এর মধ্যে রয়েছে উড়োজাহাজ বা জাহাজে ইউক্রেনের পথে রয়েছে এবং ইউক্রেনে প্রবেশের অপেক্ষায় পোল্যান্ডে রয়েছে সেসব অস্ত্র।
সাময়িক এই অস্ত্র সহযোগিতা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) পৃথক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম বিবিসিও জানিয়েছে এই তথ্য।
বিবিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা স্থগিত করেছে বলে হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজকে নিশ্চিত করেছেন। ওই কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা আমাদের সাহায্য বিরতি দিচ্ছি এবং পর্যালোচনা করছি যাতে এই সাহায্য (সংঘাতের) সমাধানে অবদান রাখতে পারে।
পৃথক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডার পর ইউক্রেনে সব ধরনের সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে সোমবার হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) স্পষ্ট করেছেন যে— তিনি শান্তির দিকে মনোনিবেশ করেছেন। আমাদের অংশীদারদেরও সেই লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। আমরা আমাদের সহায়তাকে থামিয়ে দিচ্ছি এবং পর্যালোচনা করছি যাতে এটি (সংঘাতের) সমাধানে অবদান রাখে।
এদিকে মার্কিন সহায়তা বন্ধের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অফিস তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১:২০:০৫ ৬ বার পঠিত