
ইউরোপের দেশ সার্বিয়ার বিরোধী আইন প্রণেতারা সংসদের ভেতরে ধোঁয়া গ্রেনেড (স্মোক গ্রেনেড) ও টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে মেরেছে। মঙ্গলবার সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ প্রদর্শনের সমর্থনে এমনটা করেছে তারা।
বিশৃঙ্খলার সময় স্ট্রোকের শিকার হয়েছেন এক আইনপ্রণেতা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।
মঙ্গলবার সংসদের বসন্ত অধিবেশনের শুরুতে সার্বিয়ান প্রগ্রেসিভ পার্টির (এসএনএস) নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট আলোচনার এজেন্ডা অনুমোদন করে। এর পরপরই কিছু বিরোধী রাজনীতিবিদ নিজেদের আসন থেকে উঠে দৌড়ে পার্লামেন্ট স্পিকারের দিকে তেড়ে যায়। তারা পার্লামেন্টের ভেতরের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করে। তখন বিরোধী অন্য সদস্যরা ধোঁয়া গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে মারে।
টিভি লাইভে দেখা যায়, সংসদের অভ্যন্তরে কালো ও গোলাপী ধোঁয়া উড়ছে। এই ঘটনা ১৯৯০ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তনের পর থেকে কয়েক দশকে ঝগড়া ও পানি ছুঁড়ে মারার দৃশ্যগুলোকে ছাপিয়ে গেছে।
স্পিকার আনা ব্রনাবিক বলেন, ‘দুজন এমপি আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন এসএনএস পার্টির জেসমিনা ওব্রাডোভিচ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর অবস্থা গুরুতর। তবে পার্লামেন্ট সার্বিয়াকে রক্ষা করার কাজ চালিয়ে যাবে।’
মঙ্গলবার, সার্বিয়ান পার্লামেন্ট দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য তহবিল বৃদ্ধির একটি আইন পাস করার কথা ছিল। এই আইনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে বিক্ষোভ করছে সার্বিয়ার শিক্ষার্থীরা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মিলোসে ভুসেভিচের পদত্যাগের বিষয়টিও সংসদে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ক্ষমতাসীন জোট অধিবেশনের এজেন্ডায় নেই এমন অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করলে বিরোধীরা ক্ষুব্ধ হয়ে যায়।
গত চারমাস আগে, সার্বিয়ায় একটি রেলস্টেশনের ছাদ ধসে ১৫ জন মারা যায়। এরপর থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২:১৭:১২ ১০ বার পঠিত