
উজবেকিস্তানের সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রী ওজোদবেক নাজারবেদেভের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সে দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে আজ বুধবার মন্ত্রীর কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দূতাবাসের মিনিস্টার মো. নাজমুল আলমসহ সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যকার ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় বন্ধন ও সম্প্রীতির ওপর আলোকপাত করে রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম দু’দেশের জনগণের মধ্যে বিরাজমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো গভীর করার লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা ও বিনিময়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এ উদ্দেশ্যে তিনি প্রস্তাবিত সমঝোতা স্মারকটি দ্রুততার সঙ্গে স্বাক্ষরের ওপর জোর দেন, যা সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের দু’দেশের সম্পর্কে নতুন গতি ও মাত্রা যোগ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মহান ভাষা আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, গুরুত্ব ও তাৎপর্যের বর্ণনা করে রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল উজবেকিস্তানের মন্ত্রীকে তাসখন্দের একটি উপযুক্ত স্থানে ‘শহীদ মিনার’ নির্মাণের প্রস্তাব করেন। তিনি সুবিধাজনক সময়ে মন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
উজবেকিস্তানের সাংস্কৃতিকবিষয়ক মন্ত্রী নাজারবেদোভ সাংস্কৃতিক সহযোগিতা সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরের বিষয়ে দূতাবাসের উদ্যোগ ও প্রয়াসকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এই চুক্তি হলে দুই দেশের মধ্যে শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক আদান প্রদানের ক্ষেত্র ও বিষয়সমূহ প্রসারিত হবে না, তা বন্ধুপ্রতিম জনগণের সৌহার্দ্যতা ও বোঝাপড়াকে আরো শক্তিশালী করতে অর্থবহ অবদান রাখবে। ভাষা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যতাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব উল্লেখ করে তাসখন্দে শহীদ মিনার স্থাপনের বিষয়টি উত্থাপনের জন্য তিনি রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জামান এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। দু’পক্ষের সুবিধাজনক সময়ে তিনি বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন সে দেশের মন্ত্রী।
বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিশেষ করে সাংস্কৃতিক সহযোগিতাকে আরো জোরদারকরণের লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করার মধ্য দিয়ে বৈঠক শেষ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৪:১৯ ১০ বার পঠিত